
সাবেক পুলিশের কর্মকর্তা আনসার আলী চাকরিতে বহাল থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে করেছেন অডেল সম্পদের পাহাড়, মিরপুর ১ নাম্বার বিশিল মৌজায় তুরাগ নদীর কাছ ঘেঁষে যে খালটি রয়েছে সেই খালের পাশে তার রয়েছে ১৮ কাঠা জমি থাকার সুবােদ নিজের প্রভাব খাটিয়ে আরো দখল করেছে খালের অধিকাংশ জায়গা করেছেন বিক্রিও।
মিরপুর ১ নম্বর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে যে খালটি গুরুত্বপূর্ণ তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মোট ২৯টি খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮ কিলোমিটার, এবং মিরপুরের জলাবদ্ধতার জন্য 'প্যারিস খাল' ও 'রূপনগর খাল'-এর মতো খালগুলো পরিচিত, যা দখল ও আবর্জনায় ভরাট হয়ে সমস্যা তৈরি করে।
সরেজমিনে অনুসন্ধা কালে মিনারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন এই দুর্নীতিবাজ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আনসার আলীর রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ফ্ল্যাট ও জমি, মিরপুর এক নাম্বার দারুস সালাম থানার সাথেই রয়েছে তার তিনটি বাড়ি মিরপুর ১ নাম্বার তুরাগ নদীর ওপারে কাউন্দিয়াতে রয়েছে আরো একটি বাড়ি মোহাম্মদপুরে রয়েছে বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট এবং গাজীপুরে রয়েছে তার ২১ বিঘা জমি।
মিনারা বেগম আরো বলেন আমরা ভূমিহীন অসহায় আমাদের থাকার কোন জায়গা নাই এবং ঘর ভাড়া দিয়েও আমাদের থাকা সম্ভব না, তাই আমরা মিরপুর ১ নাম্বার বেরিবাদ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বাঁশ খুঁটি দিয়ে অস্থায় ঘর তুলে ৩০ বছর যাবত বসবাস করে আসছি আমাদের সেই বসত ঘর ভেঙে অবৈধভাবে তার জায়গার রাস্তা বের করে জায়গা বিক্রি করার পায়তারা চালাচ্ছে এই পুলিশের সাবে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আনসার আলী। মিনারা বেগম বলেন আমাদের ঘর ভেঙে যে রাস্তা নেওয়া হয়েছে সেটি জোরপূর্বক অবৈধভাবে তার জায়গার রাস্তা এখান থেকে না বাইপাস থেকে, আমাদের বসত ঘর ভাঙ্গার সময় আনসার আলীকে বাধা দিলে তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আমি এই জায়গার লিজ নিয়ে আসছি, আমি তা দেখতে চাইলে তিনি আমাকে হুমকি ধামকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা আনসার আলীকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুধু একাই খাল দখল করিনি আমার পাশে আরও অনেক দখলদার রয়েছে, তারা ও খালের জমি দখল করে ঘর ভাড়া দিচ্ছে এবং বাঁশ বিক্রির দোকান দিয়েছে, তাদেরকে আপনারা কিছু বলছেন না কেন এভাবেই নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন এই পুলিশের সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আনসার আলী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে রাস্তা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার জায়গার সামনে যে জায়গা থাকবে সে জায়গা আমারই সরকারি জায়গা তার কিভাবে হয় এটাই প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব আজ দ্বিতীয় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকায়।
আমার বার্তা/এমই

