রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন ধূমপানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের সভাপতি জুয়েল আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিগেডিয়া (অবঃ) কে এইচ মোঃ মোজাম্মেল হক, ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার নায়লা পারভিন পিয়া।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ইপিডিমিওলোজিস্ট মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, মিসেস ফারিয়া সুলতানা, মিসেস উম্মি কাউসার সুমনা, কেএইচ আবদুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ধূমপানের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। কেউ কেউ ধূমপান শুরু করে শখের বশে, কোনো বন্ধুর মাধ্যমে বা বন্ধুদের আড্ডাখানা থেকে। ধূমপানে আসক্ত হওয়ার পর এর ভয়াবহতা জানা সত্ত্বেও ধূমপান বন্ধ করছে না।
ফলে আসক্তের সংখ্যা না কমে বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধূমপানে ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে বলেন, ধূমপান বন্ধ করতে হলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, গ্রামে-গঞ্জে অবহিতকরণ সভা এবং এর কুফল তুলে ধরে ধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
কর্মশালায় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, ধূমপান বন্ধ করতে হলে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে ধূমপানবিরোধী অধ্যয় সংযোজন করতে হবে, তামাক চাষিকে অন্য ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে, মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে, বাধ্যতামূলক স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির আগে বাধ্যতামূলক ড্রপ টেস্ট করতে হবে, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ড্রপ টেস্ট করতে হবে। কর্মশালায় উঠে আসে ধূমপান বন্ধে নানান দিক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে বিয়াম ফাউন্ডেশনের মেঘনা হলে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন (বিবিএম)। সংস্থাটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে ১৯৯২ সাল থেকে কাজ করে আসছে।
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে তামাকবিরোধী অভিযানে সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করার অংশ হিসেবে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
তামাকমুক্ত বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে গণমাধ্যমের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বড় বাধা হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, যার কারণে আমাদের জাতীয় অগ্রগতি অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আমাদের সকলকে তামাকের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে হবে।
ইস্পাহানি চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নির্বাহী প্রডিওসার নাইলা পারভিন পিয়া তামাক ত্যাগের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সামনের পথ সম্পর্কে এবং এই বিষয়ে সাংবাদিকদের করণীয় সম্পর্কে পৃথক দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় ঢাকার প্রায় ২৭ জন সাংবাদিক অংশ নেন।