দীর্ঘ নাটকীয়তার পর ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এর আগপর্যন্ত নিজেদের বিরোধ অব্যাহত রেখেছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। দেশ দুটি শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে সায় দিলেও, ভারত এবার নতুন অজুহাত দাঁড় করিয়েছে। প্রতিযোগী প্রতিটি দলের জার্সিতে থাকতে হবে আয়োজক পাকিস্তানের নাম, সেটাই রাখতে চাচ্ছে না ভারত। যা নিয়ে এবার আইসিসি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সূত্রের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া প্রতিটি দেশের জার্সিতে অফিসিয়াল লোগো থাকতে হবে। একইসঙ্গে আয়োজক দেশের নামও রাখতে হবে লোগোর নিচে। আইসিসির এমন ঘোষণা অবশ্য নতুন কিছু নয়, এর আগেও তাদের প্রতিটি বৈশ্বিক ইভেন্টে অফিসিয়াল লোগো ও আয়োজক দেশের নাম রাখা বাধ্যতামূলক ছিল।
আইসিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এটি প্রতিটি দেশেরই দায়িত্ব যে তারা তাদের জার্সিতে টুর্নামেন্টের লোগো রাখবে। এই নিয়ম সবার জন্য বাধ্যতামূলক।’ অবশ্য লোগো বলতে কেবল প্রতীকি বিষয়টিই নয়, এর সঙ্গে আয়োজক দেশের নামও সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি আসরভেদে লোগোর ধরন, রঙ– এসব বিষয় আয়োজক দেশ ও আইসিসি মিলে ঠিক করে। শেষ পর্যন্ত জার্সিতে নাম রাখা না রাখার বিতর্ক কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার বিষয়!
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে পাকিস্তানে। ভারতের চাওয়ায় তাদের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইতে। তবে আয়োজক সত্ত্ব পাকিস্তানের হাতেই থাকছে। কিন্তু ভেন্যু নিয়ে জটিলতা কাটানোর পর এবার নতুন করে জার্সি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের দাবি– চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তানের নাম ভারতীয় দলের জার্সিতে রাখতে চায় না বিসিসিআই। এমন খবর ছড়াতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিসিবির এক কর্মকর্তা। তার ভাষ্য– ‘ক্রিকেটে রাজনীতি ঢোকাচ্ছে বিসিসিআই। ওরা পাকিস্তানে আসতে চায়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য অধিনায়ককে পাঠাতে চায় না। এখন শুনছি আয়োজক দেশ পাকিস্তানের নামও নাকি জার্সিতে লিখবে না। আশা করি আইসিসি এমনটা হতে দেবে না। পাকিস্তানের পাশে থাকবে আইসিসি।’
প্রসঙ্গত, ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের পর্দা উঠবে। মেগা এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তানের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটিও হবে দুবাইতে। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ভারত আসর শুরু করবে।
আমার বার্তা/এমই