জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিয়েছেন আওয়ামীপন্থী ২ শিক্ষক । এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শিক্ষার্থী ও ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৮৭ তম সিন্ডিকেট সভায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এর সাবেক ডিন ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন এবং সাবেক প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান উপস্থিত ছিলেন। তারা উভয়েই বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে কট্টর আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত তারা । স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় অনেক ভিন্নমতের শিক্ষক ও কর্মকর্তার প্রমোশন আটকে দেয়া, অনুষদ গুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা সহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা । একনিষ্ঠ আওয়ামীপন্থী রাজনীতির পুরস্কার হিসেবে একই সাথে পেয়েছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব ।
গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান এবং সাবেক উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের পদত্যাগের পর এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সিন্ডিকেট সভা । এতে কোন কারণে এবং কেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের রাখা হলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাজু শেখ বলেন, আওয়ামী আমলে মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্যরা সিন্ডিকেটে এখনও বহাল তবিয়তে আছে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছুই নেই। কার স্বার্থের জন্য এসব সদস্যরা এখনো রয়ে গেলেন এর জবাব কিন্তু দিতে হবে। সিন্ডিকেট সভায় আমরা কোন স্বৈরাচারের দোষর দেখতে চাই না। ৫ই আগস্টের পরে সাবেক উপাচার্য পদত্যাগ করলেন আর তাদেরকে কোন স্বার্থের জন্য রেখে দেয়া হল ? যারা তাদেরকে বসতে সুযোগ করে দিলেন, তারা কি ক্যাম্পাসের কিছুই জানেন না?? নাকি জেনেও না জানার ভান করে আছেন ।।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা চাইনা ওনারা সিন্ডিকেট কমিটিতে থাকুক । এ বিষয়ে আমাদের মনোভাব সিন্ডিকেট কমিটির বৈঠকে আমরা তাদের জানিয়েছি । তারা নিজ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন । সিন্ডিকেট কমিটির মেয়াদ আর ৩ মাস আছে, এরই মধ্যে উনারা পদত্যাগ করলে আমাদের সকলের জন্যই তা ভালো হয় ।
আমার বার্তা/সামী আহম্মেদ পাভেল/এমই