বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকে মুমূর্ষু ও অচেতন অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক অনেককেই মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে ১৯ মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাই অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহগুলো ঢামেক মর্গের হিমাগারের রাখা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই (শনিবার) থেকে ৮ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সাড়ে ৫ পর্যন্ত রাজধানী সহ আশেপাশের এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হন তারা।
এ বিষয়ে আমার বার্তাকে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গের হিমাগারে এখন পর্যন্ত ১১ অজ্ঞাত মরদেহ রয়েছে। এদের মধ্যে আজকে চারটি মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাকিগুলো আমরা মর্গে রেখেছি যদি নিহতদের পরিবারের কেউ স্বজনদের খোঁজ পায় সে আশায়। আমাদের হাসপাতালে পক্ষ থেকে শনাক্তের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখন পুলিশের সহযোগিতায় এই অজানা ১১ মরদেহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন কিনা সে বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। তবে এ বিষয়ে আমাদেরকে আরো কিছুদিন সময় নিতে হবে।
অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ সহকারী শ্রী রামু চন্দ্র জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আমাদের কলেজ মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮ মরদেহ রয়েছে। আমরা মর্গে দেখে অপেক্ষায় আছি যদি মরদের খোঁজে কেউ আসেন এবং পরিচয় সনাক্ত করেন সেই অপেক্ষায়। ইতিমধ্যেই কয়েকজন স্বজনদের খোঁজে এসেছিলেন কিন্তু মরদেহ গুলো দেখে তারা সনাক্ত করতে পারেনি।
পুলিশের আইনি প্রক্রিয়ার শেষে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন আমাদের কাছে দিলে তখন আমরা মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে পারবো। এরপরও যদি ময়নাতদন্তের পর স্বজনরা শনাক্ত করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আমরা মরদেহ গুলো দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করব।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই