
রাজধানীর গুলশান টিএন্ডটি মাঠে কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় স্থাপিত বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির মানবিক সহায়তা কেন্দ্র নয় দিনের সেবা কার্যক্রম শেষে আজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সমাপনী দিনে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১,২০০ শিশুর মাঝে জরুরি পুষ্টি সহায়তা হিসেবে গুঁড়া দুধ বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিপর্যয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘব করাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা আন্তরিকভাবে মানুষের পাশে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো মানবিক দুর্যোগে তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত আছি।”
গত ২৫ নভেম্বর কড়াইল বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষ বাসস্থান হারালে আনসার-ভিডিপি ২৮ নভেম্বর থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করে। নয় দিনব্যাপী এই কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ২,০০০ মানুষের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলে ৫০০ কম্বল এবং ৪০০ জনকে অতিরিক্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরাপদ পানি সংকট নিরসনে বিকল্প পানি সাপ্লাই পয়েন্ট স্থাপনের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে, যা দীর্ঘমেয়াদে বস্তিবাসীর সুপেয় পানি সরবরাহে সহায়ক হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মহাপরিচালক ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, অঙ্গীভূত আনসার, নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) এবং ব্যাটালিয়ন সদস্যদের মানবিক দায়িত্ব পালনে নিবেদন ও অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
কড়াইলের দুর্যোগ মোকাবিলায় আনসার-ভিডিপির এই সুসমন্বিত ও মানবিক উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক নির্ভরতার অবস্থান তৈরি করেছে।
আমার বার্তা/এমই

