২০২৫-২৬ অর্থবছরের বীজ পরিবহন কার্যক্রমে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে (বিপ্র)। সরকারি বিধিমালা অনুসরণ না করে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ কম দর দেখানো একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এ ঘটনায় বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) লঙ্ঘনের পাশাপাশি কৃষকদের বোরো মৌসুমে সময়মতো বীজ না পাওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেন বিপ্র-এর উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। মোট আটজন ঠিকাদার দরপত্র উত্তোলন করলেও, জমা পড়ে মাত্র দুটি। ২ সেপ্টেম্বর দরপত্র খোলার দিন দেখা যায়, উভয় দরদাতা-ই প্রাক্কলিত ব্যয়ের ১০ শতাংশের বেশি কম মূল্য প্রস্তাব করেছেন। অথচ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন অনুযায়ী, প্রাক্কলিত ব্যয়ের ১০ শতাংশের বেশি কম বা বেশি দর হলে সেই দরপত্র বাতিলযোগ্য বলে গণ্য হয় (আইনের ৩১ ধারা, ৩ উপধারা)।
আইন অনুযায়ী দরপত্র বাতিল হওয়ার কথা থাকলেও, প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ কম দর দেয়া সত্ত্বেও পণ্ডিত ট্রেডার্স নামের একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একটি উদাহরণে দেখা গেছে, মেহেরপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার, কিন্তু ভাড়া ধরা হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা প্রতি টন। অথচ মেহেরপুর থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরের ঝিনাইদহের জন্য ভাড়া ধরা হয়েছে ৯০০ টাকা। প্রায় তিনগুণ বেশি দূরত্বের ভাড়ার পার্থক্য মাত্র ১০০ টাকা, যা অযৌক্তিক ও প্রকৃত বাজারদরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আমার বার্তা/এল/এমই