জনস্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে অবস্থিত এই বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য শিক্ষায় বিশ্বসেরা হিসেবে পরিচিত।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যানসেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। বৈঠকে জনস্বাস্থ্য শিক্ষায় যৌথ উদ্যোগে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যানসেলর বলেন, এই অংশীদারিত্বের আওতায় প্রাথমিকভাবে মাস্টার অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) প্রোগ্রামের সিলেবাস বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকায়ন করা হবে। পাশাপাশি প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বিন্যাস, ব্যবস্থাপনা এবং জনস্বাস্থ্য গবেষণায় যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রফেসর আমানুল্লাহ আরও জানান, জনস্বাস্থ্যে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিগ্গিরই নিজস্ব এমপিএইচ প্রোগ্রাম চালু করবে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।
তিনি প্রত্যাশা করেন, দেশের সম্পদ এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সেরা এমপিএইচ প্রোগ্রাম উপহার দিতে পারবে।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল বোর্ড হিসেবে কাজ করে না বরং গবেষণাগার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেন্টার ও উন্নত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদাহরণ টেনে প্রফেসর আমানুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত ধারণা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।
আমার বার্তা/এল/এমই