বর্তমানে চলচ্চিত্রের দায়িত্বে আমলারা থাকলেও তারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ না। স্বাভাবিক ভাবেই তারা তাদের দায়িত্বগুলো মূলত এড়িয়ে যান। ফলাফলস্বরূপ আমাদের চলচ্চিত্র সামনে আগাতে পারছে না। চলচ্চিত্র সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে চলচ্চিত্রে সংযুক্ত ব্যাক্তিদের নিয়োগ দেয়া উচিত।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব বলেন।
হুমায়রা বিলকিসের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এন রাশেদ চৌধুরী। প্রস্তাবিত চলচ্চিত্র কমিশনের কর্মপরিধি বাড়াতে বেশ কিছু দাবির কথা বলা হয়। চলচ্চিত্রের বিকাশে সরকারের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি দপ্তর, পরিদপ্তর, প্রতিষ্ঠন, কমিটির সদস্য নির্বাচন, পরিচালনা ও সংরক্ষণ, চলচ্চিত্রচর্চার বিকেন্দ্রীকরণ করতে বিভাগীয়/জেলা পর্যায়ে শাখা উন্নয়ন কর্পোরেশন, ফিল্ম সিটি, কারিগরী অবকাঠামো, প্রদর্শনীর জন্য সিনেপ্লেক্স/মিনিপ্লেক্স হল, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট নির্মাণ এবং পরিচালনা, চলচ্চিত্রের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান বা ধ্বংসপ্রায় স্থাপনাসমূহকে চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা, দেশের আপামর জনসাধারণকে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির সাথে যুক্ত করতে বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ বিভিন্ন টেলিভিশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী/মনিটাইজেশনে সুযোগ সৃষ্টি করা, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধীনে পূর্ণাঙ্গ ডাটা সেন্টার, আধুনিক প্রদর্শন ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় সার্ভার, বিপণন সম্ভব নয় পিছিয়ে পরা এমন শাখা (স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্যচিত্র ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র) চলচ্চিত্র সমূহের প্রদর্শন ও বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি করা সহ চলচ্চিত্রের বিকাশে ইতিবাচক কাজগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
উক্ত সেমিনারে সংগঠনের অনান্য ব্যাক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিল্ম নির্মাতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই