জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এ যোগ দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত চিকিৎসক ডাক্তার সাবরিনা হুসেন (মিষ্টি)। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তাকে জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সমালোচনার মুখে এখন তাকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে সংগঠনটি।
করোনামহামারি চলাকালে ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই বহু মানুষকে জাল রিপোর্ট দিয়েছিল সাবরিনা হুসেনের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার। ডাক্তার সাবরিনা ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। এই অভিযোগে করা এক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল তাকে। রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল সাবরিনাকে। এ রকম একজন সমালোচিত ব্যক্তিকে কেন সংগঠনে নেওয়া হলো? জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তাকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছি।’
সাবরিনাকে সংগঠনে নেওয়া প্রসঙ্গে রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘তাকে (ডাক্তার সাবরিনা) সংগঠনে নেওয়া হয়েছিল। তার পরিবারের একজন সদস্য বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই বিবেচনায় তাকে আমরা নিয়েছিলাম। এখন বাদ দেবো।
জিসাস-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্প্রতি সাবরিনাকে জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
নমুনা পরীক্ষা না করেই জাল রিপোর্ট দেওয়া অপরাধের মামলায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন সাবরিনা। জেলজীবন নিয়ে বই প্রকাশ করেও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে বই ও মহামারিকালের অপরাধ ছাপিয়ে ভ্লগার হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছেন এই নারী।