সিরিয়ায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে চলা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের খবরের মধ্যেই বিমানে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।
এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে নাটকীয় পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় সিরিয়া পরিস্থিতির দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস বলেছে, সিরিয়ায় ‘নজিরবিহীন’ এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
লাইভ আপডেটে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। এতে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার দল সিরিয়ার নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে এ বিষয়ে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছে।”
এদিকে আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ‘নতুন যুগের সূচনা’ ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধীরা। একইসঙ্গে প্রতিশোধ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা। সশস্ত্র বিরোধী দল বলছে— “নতুন সিরিয়া” হবে “শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের” স্থান, যেখানে ন্যায়বিচারের জয় হবে এবং সমস্ত সিরিয়ানদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।
বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছি।”
বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছে, “বাথিস্ট শাসনের অধীনে ৫০ বছরের নিপীড়ন এবং ১৩ বছরের অপরাধ, অত্যাচার এবং বাস্তুচ্যুতি ও দীর্ঘ সংগ্রামের পরে, সমস্ত ধরনের দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করার পরে আমরা আজ ৮ ডিসেম্বর সেই অন্ধকার যুগের সমাপ্তি এবং সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা ঘোষণা করছি।”
আমার বার্তা/জেএইচ