মিয়ানমারের রাখাইনের কিয়াউকফিউ এলাকায় বিদ্রোহী আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে গত ছয় দিন ধরে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। এরই মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি কিয়াউকফিউর দনিয়াওয়াদ্দি নৌঘাঁটির কাছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চৌকি ঘিরে ফেলেছে। খবর দ্য ইরাবতীর।
এদিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে জান্তা বাহিনী। এদিকে মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে চীন।
জান্তা সমর্থিত দলগুলোকে একের পর এক আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বেইজিং। এটিকে সামরিক সরকারকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, রাখাইনের কিয়াউকফিউতে জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির কাছে সামরিক চৌকি ঘিরে রেখেছে আরাকান আর্মি। গত ছয়দিন ধরে সেখা চলছে টানা সংঘর্ষ।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, বিভিন্ন জায়গায় আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে জান্তা বাহিনী ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। আরাকান আর্মির হাতে এই নৌঘাঁটির পতন হলে জান্তার প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে।
এদিকে উত্তরের শান রাজ্যে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছেছে জান্তা বাহিনী। দীর্ঘ অভিযানের পর রাজ্যের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে সেনারা। এই শহরটি মান্দালয়-লাশিও-মুসে বাণিজ্যপথের প্রবেশদ্বার।
এর নিয়ন্ত্রণ হারানো ছিল বিদ্রোহী বাহিনীগুলো জন্য বড় ধাক্কা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর শান থেকে পুরোপুরি বিদ্রোহী শক্তিকে হটাতে আরও বড় সামরিক অভিযানের প্রয়োজন হবে জান্তার।
এদিকে মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচনের পেছনে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে চীন। সামরিক জান্তা সমর্থিত দলগুলোকে একের পর এক আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বেইজিং।
দ্য ইরাবতীর দাবি, ভোটে কীভাবে 'নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র' কায়েম করা যায় তা শিখিয়ে দিচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। তবে চীনের এই প্রচেষ্টা নির্বাচনী পরিবেশের জন্য স্বাভাবিক নয়, বরং জান্তা সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আমার বার্তা/এল/এমই