গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি উপলক্ষ্যে ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী মার্কিন বিমানবাহিনীর ‘এয়ারফোর্স ১’ উড়োজাহাজটি।
তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পও তার সফরসঙ্গী হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন তিনি। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও সেখানে আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকার জন্য তাকে দেওয়া হবে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব অনার’। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগ আজ নেসেটে তাকে এ সম্মাননা দেবেন।
নেসেটে বক্তৃতা প্রদান, সম্মানা গ্রহণ ও জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশে রওনা হবেন ট্রাম্প। আজ থেকে কায়রোতে শুরু হচ্ছে গাজা শান্তি সম্মেলন। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যৌথভাবে সেই সম্মেলনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
ওয়াশিংটন থেকে বিমানে ওঠার সময় সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, এবার ইসরায়েলের পাশাপাশি তিনি গাজা সফরেও যাবেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন, “গাজার বর্তমান অবস্থা কেমন—তা আমি খুব ভালোভাবে জানি। গাজায় পা রাখতে পারা আমার জন্য অনেক গর্বের একটি ব্যাপার হবে এবং আমি তা করতে চাই।”
“কিন্তু আমার মনে হয় সামনের দশকগুলোতে একটি বড় মিরাকল ঘটতে যাচ্ছে। আপনি যদি খুব দ্রুত এগোতে চান, তা ভালো হবে না। আপনাকে সঠিক গতিতে এগোতে হবে। খুব দ্রুত গতিতে চললে বিপদে পড়তে হবে” বলেন ট্রাম্প। - সূত্র : বিবিসি
আমার বার্তা/এমই