২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল তালেবান।
আফগানিস্তানে খুনের অভিযোগে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ক্ষমতাসীন তালেবান প্রশাসন।
মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় লাঘমান প্রদেশে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল তালেবান।
তালেবান পরিচালিত সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনটি আদালতের তদন্তের পর সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ৫ জনকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
তবে কীভাবে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। কেবল বলা হয়, আঞ্চলিক তালেবান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সাজা কার্যকর করা হয়েছে। তালেবানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা এর অনুমতি দিয়েছিলেন।
গত বছর এই নেতা শরিয়া আইনানুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বিচারকদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “মামলাটি গুরুতর হওয়ার কারণে সর্বোচ্চ তালেবান নেতা চূড়ান্ত তদন্ত সম্পন্ন করেছেন এবং তারপর পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।”
২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর গত বছর ডিসেম্বরে ফারাহ প্রদেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে অন্য একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সেবার ঊর্ধ্বতন তালেবান নেতাদের উপস্থিতিতে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল এবং জাতিসংঘ এর সমালোচনা করেছিল।
গত বছর আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ডাকাতি এবং ব্যাভিচারের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের মতো সাজা চালুর ঘোষণা দেয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে সেই ১৯৯০ এর দশকের তালেবান আমলের সময়কার সাজা কার্যকর পদ্ধতিই আবার ফিরে আসার ইঙ্গিত মিলেছে।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের তালেবান শাসনকালে আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত এবং পাথর মেরে হত্যার পদ্ধতি চালু ছিল।
আমার বার্তা/এল/এমই