
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে ফের সতর্ক করলেন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বা এআইয়ের গডফাদার খ্যাত জিওফ্রে হিনটন।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন প্রযুক্তির উত্থানে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের প্রযুক্তির উত্থান ২০২৬ সালে মানুষের জন্য মারাত্নক কর্ম সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
সাক্ষাৎকারে হিনটনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সে এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন কী না? জবাবে হিনটন বলেন, ‘আমি সম্ভবত একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। কারণ এই প্রযুক্তি আমার ধারণার চেয়ে দ্রুত বিকশিত ও উন্নত হচ্ছে। মানুষের অনুকরণ ও রিজনিংয়ের (সমস্যা সমাধান) মতো কিছু ক্ষেত্রে এটি অনেক ভালো করছে।’
২০২৬ সালে এআইয়ের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখনই মারাত্নক। আমরা দেখতেই পাচ্ছি সামনে এটি আরও ভালো করবে।’
‘এটি এখনই কল সেন্টারের চাকরিতে মানুষের প্রতিস্থাপন করছে। সামনে এটি আরও অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রেও করবে।’- যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি সাতমাসে এটি (এআই) তার পূর্বের করা কাজের চাইতে দ্বিগুণ বড় কাজ করতে বা তার চেয়ে বেশি সক্ষম হয়।’
হিনটন বলেন, ‘আর কয়েক বছরের মধ্যেই এটি সফটওয়্যার প্রকৌশলের যেসব কাজ করতে মাসের পর মাস সময় লাগতো, তা করতে সক্ষম হবে। এবং তখন সেখানে খুবই অল্প লোকের প্রয়োজন হবে।’
অবশ্য এআইয়ের ইতিবাচক দিক নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। এআই হেলথ কেয়ার, জিনিস নকশা করণ, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে জানান তিনি।

