বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মোশাররফ হোসেন কাজলসহ ১৭ জন স্পেশাল প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তা নিশ্চিত করে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার দ্রুত শুরু করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ মামলার বিচারে সহায়তা করার জন্য ওই ১৭ জনকে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদও পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি সরকার থেকে তদন্ত আদালত করতে পারার বা সে সংক্রান্ত সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
‘যখন আমি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্তের আদেশ দিয়েছি, তখন আমাকে বলা হলো যে সরকার যখন তদন্ত আদালত করছে তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই আদালতের প্রয়োজনটা কী?’ উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া ৫ আগস্টের পর নিহত আর্মি অফিসারদের পরিবাররা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুন:তদন্ত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
এই ঘটনার চার বছর পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতে হত্যা মামলাটির রায় হয়।
এখনো পর্যন্ত এ মামলাটিতেই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক আসামি। ৮৫০ জন বিডিআর সদস্যের বিচার হয় এ মামলাটিতে।
মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ১৫২ জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৬০ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২৫৬ জনকে।