নাশকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক নাইমুল ইসলাম ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর শনিবার (১৭ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত কতিপয় সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘উসকানিমূলক বক্তব্য’ দিয়ে আসছেন সৈনিক নাইমুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
আইএসপিআর বলেছে, এ ধরনের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করতে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল আজ শনিবার দুপুর ২টায় খিলক্ষেত, বটতলা বাজার এলাকায় নাইমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সহযোগীদের নিয়ে উপস্থিত একজন সেনা সদস্যদের ওপর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। আশপাশের সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইমুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, এর আগে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুকের দাবি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে সৈনিক নাইমুলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃত সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে আনুষাঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘সর্বসাধারণের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে’ আগামীকাল ১৮ মে (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় স্বরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাংগীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারসংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্ত্বর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ করা হল।
আমার বার্তা/এমই