পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বুর্কিনা ফাসোর প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্ট্রদূত খায়রুল বাশার।
ত্রিপোলীর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, পরিচয়পত্র পেশের পর হওয়া বৈঠকে উভয়পক্ষ জাতিসংঘ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার মতো বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের আলোচনায় টেক্সটাইল, কৃষি, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্ষুদ্রঋণসহ ভবিষ্যতের সহযোগিতার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং নিয়মিত রাজনৈতিক সংলাপের জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এফওসি নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন। তিনি কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ চুক্তির প্রস্তাবও করেন এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার জন্য উচ্চ স্তরের সফর বিনিময়ে জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ এবং বুর্কিনা ফাসোর মধ্যে সরাসরি তুলা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন, যা বাংলাদেশের শক্তিশালী টেক্সটাইল শিল্পকে সমর্থন করবে এবং বুর্কিনার তুলার জন্য নতুন বাজার যুক্ত হবে। তিনি বাংলাদেশ থেকে কৃষি পণ্য, তৈরি পোশাক এবং চামড়াজাত পণ্যের বাণিজ্যের সুযোগ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত ওষুধ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রদূত সেচ প্রযুক্তি, কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা, ফসলের ফলন বৃদ্ধি এবং ফসল কাটার পরবর্তী অবকাঠামোতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রস্তাব করেন। তিনি কৃষি খাতে বিনিয়োগ এবং জ্ঞান বিনিময় সহজতর করার জন্য চুক্তিবদ্ধ কৃষিকাজের ওপর একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রদূত সামরিক প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে, বিশেষ করে শান্তিরক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং নেতৃত্ব উন্নয়নে বাংলাদেশের সহায়তার প্রস্তাব দেন। এসময় বুর্কিনার প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আমার বার্তা/এমই