ই-পেপার শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২

বিগত সময়ের মতো মেরুদণ্ডহীন মানবাধিকার কমিশন চাই না

আমার বার্তা অনলাইন
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:২৫

বিগত সময়ে নখদন্তহীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উপহার দেওয়া হয়েছে, আমরা ওইরূপ নখদন্তহীন ও মেরুদণ্ডহীন মানবাধিকার কমিশন চাই না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর অভিজাত হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মানবাধিকার কমিশন গঠনে ড. ফখরুউদ্দিনের সরকারের সময় আইনের খসড়া তৈরি হয়। ওই আইনের ভিত্তিতে পরবর্তী সরকারের সময় কমিশন গঠিত হয়। নতুন সরকার আইনটি অনুমোদন দেন। ওই আইনের অধীনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নিয়োগ হয়। এরপর ২০২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর কমিশন বাতিল করা হয়। এরপর প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নাই। অথচ সরকার এ সময়ে অন্যান্য কমিশন গঠন করেছেন।

তিনি বলেন, ওই সময়ে কমিশন গঠিত না হলেও সরকার মানবাধিকার বিষয়ে আইন প্রণয়নের চেষ্টা করেছেন। সেই আইনের খসড়া নিয়ে আজকের আলোচনা। বিগত সময়ে কমিশনের ইতিহাস বিবেচনায় নিলে প্রশ্ন থেকে যায়—দেশের মানবাধিকারের কি কোনো উন্নতি হয়েছে? অন্যদিকে নতুন খসড়া আইনে নতুনত্ব কী আছে, যার ফলে পিছিয়ে পড়া মানুষের মানবাধিকারের বিষয়টি বাস্তবায়ন হবে? আমার উপলব্ধি হলো, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আমাদের বিগত সময়ে নখদন্তহীন মানবাধিকার কমিশন উপহার দেওয়া হয়েছে। যে কোনো কামড় দিতে পারে না। যার কোনো দক্ষতা নেই কিংবা কার্যক্ষমতা নেই। এ রকম মানবাধিকার কমিশন আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমার প্রথম চাওয়া হলো, আমরা এরূপ নখদন্তহীন মানবাধিকার কমিশন চাই না, যারা কার্যকরভাবে মানবাধিকার রক্ষা করতে পারবে সেইরকম কমিশন চাই।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আরেকটি হলো নখদন্তহীন মানবাধিকার কমিশনের মাথায় একজন মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষকে বসিয়ে দেবেন না। সেই মানুষ কোনো দিন অন্যকোনো মানুষের জন্য মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করতে পারবে না। এজন্য মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষের প্রয়োজন নেই। আমাদের সৎ, নীতিবান ও সাহস করে সরকারের সঙ্গে লড়াই করতে পারে, সেই মানুষ প্রয়োজন। সেই রকম মানুষ যাতে কমিশনে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া খসড়া আইন নিয়ে আলোচনায় বলেন, বিগত সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে মানুবাধিকার ইস্যু কাজ করে নাই। অন্যান্য ক্ষেত্রে সফল হয়। কেন হয় না, সেটা বিবেচনা করা উচিত। খসড়া আইনেও বিষয়টি উপেক্ষিত মনে হয়েছে। নতুন আইন দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দ্বৈত নাগরিক কমিশনে নিয়োগে বাধা নেই। এটা কেন করা হয়েছে জানি না। তবে থাকা উচিত ছিল। কোনো আমলাকে এখানে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, কিন্তু এখানে সেই সুযোগ রয়েছে, যা প্যারিস চুক্তির সুস্পষ্ট লংঘন।

‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচিত অনুষ্ঠানে প্রধান দু’টি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রেক্ষাপটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) ম্যান্ডেট ও কার্যপরিধি, গঠন এবং স্বাধীনতাভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতার বিশ্লেষণ।

দ্বিতীয়ত প্রস্তাবিত খসড়াকে অধিকতর কার্যকর করার জন্য পরামর্শ দেওয়া, যাতে অধ্যাদেশটিকে নির্ভরযোগ্য অনুসন্ধানী ক্ষমতা প্রয়োগ, ভুক্তভোগী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ম্যান্ডেট দ্বারা সমৃদ্ধ করা যায়।

ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা স্বয়ং উপাত্তধারীর হাতে থাকবে

ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা স্বয়ং উপাত্তধারীর হাতে থাকবে– এমন বিধান রেখে উপদেষ্টা পরিষদে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা

ক্ষমতার পালাবদল যেন দুর্নীতির পালাবদল না হয়: বদিউল আলম

সুশাসনের অভাব ও স্বৈরাচারী কাঠামোর বিলোপ না হলে কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সম্ভব নয়

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য: সাখাওয়াত

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: বদিউল আলম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন,
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাজ্যে সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখে গুগল

হামজাকে অধিনায়ক ও দলে মনোবিদ নিয়োগের পরামর্শ আমিনুলের

চট্টগ্রামে স্ত্রীর যৌতুকের মামলায় গ্রেপ্তার স্বামী

নির্বাচন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণের কথা বলতে হবে

হালাল শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত ইকোসিস্টেম নিশ্চিত জরুরী: ঢাকা চেম্বার

প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ ক্রয়-বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

কাকরাইলে জাপার কর্মী সমাবেশে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী লংমার্চ সারজিসের

নৌকার জানালা দিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ ছোট্ট তানহা

ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা স্বয়ং উপাত্তধারীর হাতে থাকবে

বান্দরবানে বিজিবির অভিযানে বার্মিজ গরু জব্দ

মা ইলিশ রক্ষায় বিএনপি'র ব্যতিক্রমর্ধী কর্মসূচী

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে এবারও শীর্ষে বাংলাদেশিরা

হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু

ক্ষমতার পালাবদল যেন দুর্নীতির পালাবদল না হয়: বদিউল আলম

চিকিৎসা ভাতার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

র‌্যাবের গাড়ি ও বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এএসআইসহ নিহত ২, আহত ২১

সুবিচার প্রতিষ্ঠায় কোরআনের আইনকে সংসদে পাঠাতে হবে: গোলাম পরওয়ার

বাগদান সেরেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক

৫ বছর পর ঢামেকে ফের চালু হলো বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম