মাঠের বাইরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছিল প্রচুর। তবুও দর্শক ও ক্রিকেট অনুরাগীদের চোখ সরেনি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৬ সপ্তাহ; গোটা বাংলাদেশ মেতে ছিল বিপিএল নিয়ে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বিপিএল শেষ হতেই বেজে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডংকা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পর্দা উঠবে আইসিসি র্যাংকিংয়ের সেরা ৮ দল নিয়ে ওয়ানডে আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের পাশাপাশি খেলা হবে আরব আমিরাতেও। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রা শুরু করবে টিম বাংলাদেশ।
এখন ঘরের মাঠে চলছে টাইগারদের প্রস্তুতি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পেরিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায়) দুবাই যাবে টাইগাররা।
খুব না হলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের তুলনায় ওয়ানডেতে খানিকটা ভালো বাংলাদেশ। ট্র্যাক রেকর্ডও তাই বলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই একমাত্র আসর, যাতে ২০১৭ সালে সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।
এবার কেমন করবে বাংলাদেশ? সেরাটা দিতে পারবেন নাজুমল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, তানজিদ তামিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমদেরা?
টাইগার অধিনায়ক শান্ত বেশ আত্মবিশ্বাসী। শান্ত মনে করেন, যে ৮ দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে, তাদের সবার শিরোপা জেতার সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশেরও সামর্থ্য আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার।
দেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিক প্রেস মিটিংয়ে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেনের আশাবাদী সংলাপ, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি।
শান্ত বলেন, ‘এখানে যে ৮টা দল আছে, সবাই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এই ৮টা মানসম্মত দল। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দলের এই সক্ষমতা আছে।’
অধিনায়কের শিরোপা জয়ের চিন্তা, সেটা কি বাকি ক্রিকেটারদের ওপর কোনো বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে? টিম বাংলাদেশ বাড়তি চাপ অনুভব করছে কিনা?
এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তর উত্তর, ‘আমার মনে হয় না কেউ বাড়তি চাপ অনুভব করে। কারণ সবাই এটাই চাচ্ছে। সবাই এটাই চায় মনেপ্রাণে। এটাই বিশ্বাস করে যে, আমাদের ওই সক্ষমতা আছে। আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন আমরা জানি না। আমার কাছে মনে হয়, আমরা মেহনত করছি, সততার সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিটা খেলোয়াড় বিশ্বাস করি, আমাদের যে লক্ষ্য, ওই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’
আমার বার্তা/এমই