ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের এক নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
একজন চিকিৎসক জানান, গত রাতে ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ডিউটি করছিলেন মানার হাফিজ নামে নিউরো সার্জারি বিভাগের একজন নারী চিকিৎসক। ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শম্পা নামে এক নারীর বোন। পরে চিকিৎসক মানার হাফিজের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে শম্পা নামে ওই নারীর তর্ক হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেন ওই নারী। পরে বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হয়। পরিচালক হাসপাতালে আসেন এবং রোগীর স্বজন শম্পাকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ ক্যাম্প।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেলের একজন চিকিৎসককে রোগীর স্বজন মারধর করেছে, এমন অভিযোগে শম্পা নামে এক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনা হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টার শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে আটক ওই নারী শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এসআই আরও জানান, আটক ওই নারীর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক জানান, গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। চার মাস পর ফের এ ধরনের ঘটনা ঘটল। ডাক্তাররা চিকিৎসা দেবে নাকি রোগীদের মারপিটের শিকার হবে? নারী চিকিৎসকের ওপর যে হামলা করেছে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন চিকিৎসকেরা।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই