মাগুরা প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের পরীক্ষা হলে শিক্ষক পাহারায় চলছে নকলের মহোৎসব সংবাদ সংগ্রহে কেন্দ্রে ঢুকতে সাংবাদিকদের বাধা দিয়েছেন অধ্যক্ষ ও পরীক্ষার কেন্দ্রীয় সচিব মোঃ বাবুল হোসেন।
রবিবার ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস্ অব মেডিসিন ৭৫/বি, ইন্দিরা রোড, ঢাকা-১২১৫ বার্ষিক কোয়ালিফাইং পরীক্ষা-২০২৪ পরীক্ষার সময়সূচী অত্র বোর্ডের ডিইউএমএস ও ডিএএমএস ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ (চূড়ান্ত) বর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা সময়সূচী অনুযায়ী ঢাকা, ময়মনসিংহ, পাগলা, বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গহিরা, চাঁদপুর, গৌরীপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, খুলনা, মাগুরা, বাগেরহাট, বগুড়া, রংপুর, পঞ্চগড়, বরিশাল ও ভোলা কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাগুরা সদর উপজেলার পারনান্দুয়ালী, রামনগর হাইওয়ে থানার পাশে অবস্থিত প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে বার্ষিক কোয়ালিফাইং পরীক্ষার প্রথম দিনে সাধারণ বিজ্ঞান পরীক্ষার সময় হলরুম কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা এবং দ্বিতীয় দিনেও সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চলের সরকার অনুমোদিত একমাত্র আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ, প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ , যা মাগুরা জেলায় অবস্থিত। ১৯৯৫ সাল থেকে এই কলেজটি সুনামের সাথে কার্যক্রম চলে আসছে। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে মোঃ বাবুল হোসেনকে (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই ডিএএমএস ভর্তি, পরীক্ষার ফরম ফিলাপ, ইন্টার্ণী, লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক ও ভাইবা পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া শুর করেন এবং গত বছর সাংবাদিকদের নিউজ করার জন্য পরীক্ষা হলের কোন তথ্য ও ছবি তুলতে না দেওয়ায়, সাংবাদিকেরা খবর প্রকাশের পর প্রত্রিকা গুলি বাই পোস্ট এ প্রেরন করলে ঢাকা থেকে উপসচিব এসে প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ এর ছয় জন কে বহিস্কার করে এবং আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করে, কিন্তু এবছরও অধ্যক্ষ্য ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে পরীক্ষা হলে চলছে নকলের মহাউৎসব। এবং পরীক্ষার হলরুমে নকলের বিষয়ে সাংবাদিকরা মাগুরা জেলা প্রশাসককে বললে তিনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি, কারণ তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, এই পরীক্ষার হল রুমের নকলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাগুরা জেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ঊর্ধ্বতন অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বাবুল হোসেন জানান, আমি মাগুরা জেলার ডিএএমএস পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব। ডিসি আমাদের সভাপতি তার অনুমতি নিয়ে আসেন নতুবা আমি হলে ঢুকতে দিবো না। নকলের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান এখানে কোন নকল হচ্ছে না। এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট এসে ৫-১০ মিনিট সময় দিয়ে পরীক্ষা হল ত্যাগ করে। মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম কে মোবাইল ফোনে জানানো হলে, আপনারা সাংবাদিকরা নিউজ করে বোর্ডে পাঠিয়ে দেন।
বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান ডিও লেটার দিয়েছে প্রত্যেক ডিসিকে সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য। প্রত্যেক ডিসিকে ফোন দেওয়া হয়েছে যেহেতু ডিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তিনিই সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন। আপনাদের এলাকার কলেজ গত বছর ২০২৩ সালে সাবেক ডিসি মোঃ আবু নাসের বেগ বলেছিলো আমার কেন্দ্র আমার উপর ছেড়ে দেন আমি দেখতেছি। আজকের বিষয়টা বর্তমান ডিসিকে জানাবো কেন্দ্রের বিষয়টা নিয়ে। নকল মুক্ত থাকার জন্য সারা বাংলাদেশের আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্য জানান।
বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের কার্যক্রম করার সুযোগ দিতে হবে আপনারা সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরদার রুহুল আমিন এর সাথে কথা বলেছেন। সে আপনাদের পরামর্শ দিয়েছে এবং আমরাও চেষ্টা করতেছি কোনরকম সমস্যা না হয়। আমরা নকলকে প্রশ্রয় দিব না আমরা সুন্দর একটি নকল মুক্ত পরীক্ষার চেষ্টা করবো কিভাবে ভালো করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। মাগুরা জেলার নিয়োগ পরীক্ষা কমিটি আছে পরীক্ষার কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে ওদের একটা দায়িত্ব দেওয়া আছে। চেষ্টা করব ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কিভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।