নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জিমখানা লেকপার্ক এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন- সদর উপজেলার নতুন জিমখানা এলাকার মোখলেছ মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল (২১), জল্লারপাড় এলাকার মোহাম্মদ লিটনের ছেলে রিফাত (২০), দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার মৃত মোশারফ ভূঁইয়ার ছেলে জুবায়ের ভূঁইয়া রানা (৩৬), জল্লারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মোস্তফা হোসেন (২৬) ও ডালপট্টি এলাকার মৃত চিত্তরঞ্জন নন্দীর ছেলে অভিনন্দী (৩০)। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া আটককৃত আরও ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় যাচাই বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া অপর তিন জনের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- আলম চাঁন, পারভীন আক্তার ও আফরিনা ওরফে হাসি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার জিমখানা এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে জিমখানা এলাকার মাদক কারবারি আলম চাঁন কে আটক করা হয়। এছাড়া আলম চাঁন এর নিজ বসতঘর তল্লাশি করে প্রায় দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, ৩টি বড় ছোরা, ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি টেটা, ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে। এছাড়া আলম চাঁন এর বিরুদ্ধে সদর থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।
এছাড়া পারভীন আক্তার এর কাছ থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও আফরিনা ওরফে হাসির কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গাঁজা রাখা ও সেবনের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৫ জনকে সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি. এম. রাহসিন কবির। এদের মধ্যে মো. ফয়সাল ও রিফাতকে ১২ দিন, জুবায়ের ভূঁইয়া রানাকে ২০ দিন, মো. মোস্তফা হোসেনকে ১৪ দিন এবং অভিনন্দীকে ৭ দিন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে জিমখানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তিনজনের বিরুদ্ধে আগে থেকে ওয়ারেন্ট ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অপর ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আলম চাঁন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা, ইয়াবা, মদ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাকেসহ আরও দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হবে।
আমার বার্তা/জেএইচ