বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ নয় বছর পর ফিরে গেলেন সেই পথে, যেদিক দিয়ে ২০১৫ সালে তাকে গুম করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে ঢাকার একটি ফ্লাইটে সিলেট পৌঁছে সরাসরি তামাবিল সীমান্তে যান তিনি। সেখানে সরকারের গঠিত গুম-খুন তদন্ত কমিশনের নির্মিত ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশ নেন এই বিএনপি নেতা।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে গঠিত গুম-খুন তদন্ত কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম ও খুনের ঘটনাগুলো নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করছে, যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিজ্ঞতা।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। ৬৩ দিন পর ভারতের শিলং শহরে তার সন্ধান মেলে, যেখানে তিনি আইনি জটিলতায় প্রায় নয় বছর অবস্থান করেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফেরার পথ সুগম হয় এবং ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর গত ৩ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দাখিল করেন সালাহউদ্দিন, যেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। গুম ও খুনের ঘটনা তদন্তে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকার যে কমিশন গঠন করেছে, তারই তত্ত্বাবধানে এই ডকুমেন্টারির শুটিং চলছে। শনিবার সকালে সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছালে সালাহউদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা।