সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
৩৯ বছরে মা হয়েছেন দিয়া। তবে কখনো সুস্থ হয়ে সন্তানসহ বাড়ি ফিরতে পারবেন, এমনটা আশাই করেননি অভিনেত্রী।
সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে সাংঘাতিক ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন দিয়া। অভিনেত্রী যখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন তার অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচার হয়েছিল। দিয়ার ধারণা, সেখান থেকেই শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।
সাক্ষাৎকারে দিয়া জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দিতে হয়েছিল তাকে। কারণ, সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে না পারলে, মা ও পুত্র দু’জনেরই মৃত্যু হত।
চিকিৎসকের হাতে-পায়ে ধরেছিলেন দিয়া। একটাই দাবি ছিল তার, “আমার সন্তানকে বাঁচান।”
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে এনআইসিউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। জন্মের পরে সন্তানের ওজন ছিল মাত্র ৮১০ গ্রাম।
অভিনেত্রী জানান, জন্মের মাত্র ৩৬ ঘণ্টা পরেই সন্তানের শরীরেও হয় জটিল অস্ত্রোপচার। চিকিৎসক দিয়াকে জানিয়েছিলেন, শরীরের সংক্রমণে প্রাণ সংশয়ও ছিল নবজাতকের। আর সামান্য দেরি হলে কাউকেই বাঁচানো যেত না।
দিয়া বলেছেন, “আমার ছেলের অন্ত্রে ফুটো ছিল। সেজন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়। শরীরের বাইরে থেকে অন্ত্র বার করে এনে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। সেই সময়ে কোভিডও ছিল। সপ্তাহে দু’দিন ওকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি ছিল আমার কাছে। আড়াই কেজি ওজন না হওয়া পর্যন্ত ওকে ধরা যাবে না, এই নির্দেশ ছিল। ওকে বাড়ি আনার পরেও কোনও নার্স ওকে ধরতে সাহস পেত না।”
নিজে হাতেই সবকিছু করতেন দিয়া। এরপরে ওজন বাড়ে দিয়া-পুত্র আব্যানের। ওজন যখন সাড়ে তিন কেজি, তখন ফের একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। টানা তিন ঘণ্টা ধরে সেই অস্ত্রোপচার হয়েছিল।
এই ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে একটি বইও লিখবেন বলে জানিয়েছেন দিয়া মির্জা।
আমার বার্তা/এল/এমই