পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এ সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিদিন সেখানে যেতে পারবেন ২ হাজার পর্যটক।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান। সচিব বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া নিয়ন্ত্রণের ফলে সেখানকার পরিবেশ অনেক উন্নতি হয়েছে। আপনারা এবার সেন্টমার্টিনে গেলেই সেটি দেখতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন জানান, দেশের পর্যটন শিল্প রক্ষার জন্য একটি পর্যটন নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের বলা হয়, প্রতিদিন ২ হাজার করে পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন। এজন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যদিও রেজিস্ট্রেশনের সফটওয়্যারের কাজ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় জানায়, সফটওয়্যারের কাজের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরপরই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
এর আগে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে যৌথ কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যদিও এরপর ৯ মাস ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে যাওয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সে সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, সেন্টমার্টিনকে স্থানীয় জনগণ-কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীন কথা দিয়ে ভিন্নপথে পরচালিত করার সুযোগ নেই। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাঁচাতে ভ্রমণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। সরকার নতুন কিছু নয় বরং বহু পুরোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মাসের জন্য বন্ধ হয় সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ। যার প্রভাব পড়েছে দ্বীপের পর্যটন খাতে। বন্ধ রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় সুনসান নীরবতা জেটিঘাটে। জাহাজে বেকার সময় পার করছেন কর্মচারীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
আমার বার্তা/এমই