দেশে মা, শিশু, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা, বেদে, হিজরা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ এলাকার মাতৃত্বকালীন ভাতা ও শহর এলাকার কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচিকে ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল কর্মসূচির আওতায় এম আইএস ভিত্তিক মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির অধীনে মায়েদের ৩৬ মাস পর্যন্ত মাসিক ৮০০ টাকা প্রদান করা হয়। সারাদেশে মা ও শিশুদের সহায়তা প্রাপ্তি সহজ ও নিশ্চিত করতে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। এছাড়া, এ কার্যক্রমের আওতা আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪ হাজার ৮০০ জন হতে ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৮০ জনে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সুবিধা বঞ্চিত ও বিপন্ন সকল শিশুর সুরক্ষায় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে সমগ্র দেশে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।বর্তমানে গাজীপুর, চট্টগাম, রাজশাহী, খুলনা,রংপুর, বরিশাল,সিলেট ,ফরিদপুর ,কুষ্টিয়া, বরগুণা ,কক্সবাজার ,জামালপুর শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিপন্ন শিশুদের পরিবার বা নিকট আত্মীয় বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে পুনঃএকত্রীকরণ/পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হচ্ছে।বর্তমানে এ সকল কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৮ জন ছেলে এবং ১ হাজার ২১৬ জন মেয়ে শিশু অবস্থান করছে।
দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকার প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে।২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮ লক্ষ ১ হাজার প্রবীণের জন্য মাসিক ৬০০ টাকা হারে মোট ৪ হাজার ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।আগামী অর্থবছরে ভাতাপ্রাপ্ত প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধিকরে ৬০ লক্ষ ১ হাজার জনে উন্নীত করা হবে এবং এ বাবদ ৪ ৪ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এছাড়া ভাতাপ্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলার সংখ্যা বিদ্যমান ২৫ লক্ষ ৭৫ হাজার জন থেকে বৃদ্ধি করে ২৭ লক্ষ ৭৫ হাজার জনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এ বাবদ ১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বেদে, হিজরাসহ সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা প্রদানে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বর্তমানে মোট ৬ হাজার ৮৮০ জনকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে মোট ১২ হাজার ৬২৯ জনকে ভাতার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া, বেদে জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। আগামী অর্থবছরে সমাজের অনগ্রসর অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ৯০ হাজার ৮৩২ জনকে ভাতার আওতায় আনা হবে। হিজরা, বেদেসহ সকল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি চলমান থাকবে।
আমার বার্তা/এমই