বিসিএসের ভাইভার মার্কস ১০০ করার দাবিসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ দাবি জানান তারা।
এ সময় 'পিএসসি রিফরমস মুভমেন্ট'-এর মুখপাত্র বাংলা বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, ৫ আগস্টের পরে এ বিষয় নিয়ে কথা বলা লজ্জার। আমাদের হতাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের রাজপথে নামতে হবে না। সবাই জানে এবং সবার কাছে পানির মতো পরিষ্কার যে গত বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে। বিসিএস ভাইভাতে শিক্ষার্থীরা হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় পদার্থবিজ্ঞানের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও পিএসসির সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করতে হবে এটা ভাবিনি। আমাদের দাবি না মানলে জুলাইয়ের মতো আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাজ্জাদ হোসেন মুন্না ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো :
১) ৪৫তম বিসিএস থেকে ভাইভার নাম্বার ১০০ করতে হবে। প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নাম্বার প্রকাশ করতে হবে।
২) প্রতিটি বিসিএস-এর নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
৩) সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ভেরিফিকেশনের হয়রানি লাঘবে ব্যবস্থা এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে।
৪) ভাইভা উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
৫) প্রাইভেট সেক্টরে আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে হবে।
৬) বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে।
৭) বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে।
৮) পিএসসির সদস্য বৃদ্ধি করতে হবে। প্রশ্নফাঁস হওয়া ৪৬তম বিসিএস বাতিলসহ পিএসসি সংস্কার করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা জোহরের নামাজের পর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে শান্ত চত্ত্বর অবস্থা নেন। এ সময় তারা 'জুলাইয়ের অঙ্গীকার বিসিএস সংস্কার, আমার ভাই অনশনে পিএসসি কী করে' স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখর করে তোলে।
আমার বার্তা/এমই