৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার এবং পিএসসি সংস্কারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টা ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ৪ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে সেবা নিচ্ছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) হাসপাতালে।
অনশনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে অনশন করছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে অনশনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকির ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আওরঙ্গজেব ডিসেন্ট্রিতে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নিয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তবে গতকালও তারা অসুস্থ হয়ে ৩ ঘণ্টার মতো ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অনশনকারী শাহ আলম স্নেহ বলেন, এখানে এক প্রকার জেলখানার মধ্যে আছি। কোনো ফ্যান নেই, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। এই তীব্র গরমে গায়ের চামড়া ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা। তারপর আবার ধুলাবালি যেন শরীরে আরও বাজে অবস্থার সৃষ্টি করছে।
বুয়েট পড়ুয়া অনশনরত সিরাজুস সালেহীন সিয়ন বলেন, রাতে মশা আর পিপড়ার কামড়ে ঘুম আসে না। আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় সুকান্তের কবিতার মতো পূর্ণিমা রাতের চাঁদ ঝলসানো রুটির মতো মনে হয়।
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করলেই শুধু অনশন ভাঙবে বলে উল্লেখ করে সিয়ন বলেন, এখন আমাদের অনশন ভাঙাতে হলে একটাই পথ বেছে নিতে হবে পিএসসির। তা হলো ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা। তবে আমরা এই স্থগিতের সিদ্ধান্তে অনশন ভাঙলেও পিএসসি সংস্কারের আন্দোলন চলবে।
আমার বার্তা/এল/এমই