বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সহজ করার আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, বর্তমানে আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। কিন্তু ‘ভিসা পাওয়া কঠিন’ হয়ে পড়ায় এ সংখ্যা আর বাড়েনি।
বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে গত ২৪ এপ্রিল এই কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজ করতে আমরা আমিরাত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। বিভিন্ন শিল্পে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মী ও উদ্যোক্তারা আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। আমরা চাই আমিরাতের এই সফলতার গল্পের অংশ হবে বাংলাদেশিরাও।”
কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান খালিজ টাইমসকে জানিয়েছেন, আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য কনস্যুলার পরিষেবায় বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সপ্তাহে তিনদিন— শুক্র, শনি ও রোববার আমিরাতের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ কনস্যুলার সেবা দিচ্ছি। আমাদের দল অন্যান্য প্রদেশগুলোতে গিয়ে অন-স্পট কনস্যুলার সেবা দিচ্ছে। যারা সময়, অর্থ বাঁচানোর জন্য কনস্যুলেটে আসতে পারেন না তাদের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে আমরা আমাদের কনস্যুলেটের ভেতর একটি হেল্প ডেস্ক খুলেছি। কারণ আমাদের অনেক অশিক্ষিত কর্মী সঠিক তথ্য না পাওয়ায় দালালদের খপ্পড়ে পড়েন।”
এই মোবাইল সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের তিনদিনের জন্য সব ধরনের কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ ও আমিরাতের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন এই সরকারি কর্মকর্তা। তবে আলোচনাটি এ ‘মুহূর্তে প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে’।
বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বলেন, “বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। যদি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি আলোচনা সফল হয় তাহলে বাণিজ্যের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু বাণিজ্যে নয়— আমরা আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো, বন্দর সুবিধা, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ ও বাংলাদেশে হালাল মাংস প্রকিয়াজাতকরণ এবং সেগুলো অন্যান্য জায়গায় রপ্তানির জন্য আমিরাতের কাছ বিনিয়োগ চাই।” -- সূত্র: খালিজ টাইমস
আমার বার্তা/এমই