বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার পুলিশ টাউনের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি বাস। এতে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে দুটি বাসেই আগুন ধরে যায়। মৃত্যু হয় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা একই পরিবারের চারজনের। তবে বেঁচে যান অ্যাম্বুলেন্সের চালক।
আগুন ধরে যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক জাহিদুল ইসলাম (১৭) গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে নেমে পড়লেও যাত্রীদের কাউকে বের করতে পারেননি।
জাহিদুল ইসলাম টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সুতী লাঙ্গলজোড়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে। জাহিদুল মা খালেদা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে জাহিদুল রোগী নিয়ে গোপালপুর থেকে রওনা দেয়। এরপর কালিহাতী থেকে রোগীর আরেক আত্মীয়কে গাড়িতে তোলে। এরপরই সাভারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আগুন লাগার পর গাড়ির দরজা আটকে যায়। এতে যাত্রীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে নিজের প্রাণ বাঁচাতে গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে নেমে পরে। আহতবস্থায় সে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। আগুনে তার দুইটি কান ও মাথার চুল পুড়ে গেছে।
তিনি আরেও বলেন, পুলিশ হাসপাতালে এসে জাহিদুলের সাথে কথা বলে গেছে।
এদিকে ওই দুর্ঘটনায় নিহত বাবা-মা ও ছেলেকে তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। অপরজনকে দাফন করা হয়েছে গোপালপুরে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় ঢাকামুখি লেনে একটি সড়ক বিভাজকের সঙ্গে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা লাগে। এসময় পিছনে থাকা রংপুর থেকে ঢাকাগামী ঝুমুর পরিবহনের একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায় এবং সেই আগুন বাসেও লাগে। ওই সময় ঝুমুর পরিবহনের পিছনে শ্যামলী পরিবহন এবং একটি ট্রাক ছিল। সেই অ্যাম্বুলেন্সের লাগা আগুন ঝুমুর পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ও ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে।
আমার বার্তা/জেএইচ