প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হলেও আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী। দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ আজও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা ছাড়া এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের নব্য স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই আত্মত্যাগের চেতনায় সামাজিক বৈষম্য, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও পশ্চাৎপদতা দূর করে সুখী, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শুক্রবার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সাহাবুদ্দিন আহমেদের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ। সততা, কর্মনিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তখনই উন্নত হবে, যখন আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ, উচ্চশিক্ষিত নাগরিক তৈরি করতে পারবো। স্নাতকদের দেশ ও দশের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করে ভালো মানুষ ও মানবিক নাগরিক হয়ে দেশের মর্যাদা বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানসহ অন্যান্যরা। লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এবারের সমাবর্তনে ৩,৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয় এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ‘স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারাই দেশের সম্পদ। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা। নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও আধুনিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব।”
আমার বার্তা/এমই