২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দুই বছর মেয়াদি এইচএসসি ও সমমান পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (৩০ জুলাই) বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। এটি দেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে এতে জানানো হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই শিক্ষাবর্ষে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিএমটি) ও সার্টিফিকেট-ইন-মেরিন ট্রেড এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি (বিএমটি) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স শিক্ষাক্রমে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
অনলাইনে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। এর পরই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
প্রকাশিত নির্দেশিকায় প্রতিটি কোর্সে ভর্তির জন্য আলাদা-আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আবেদন করার পদ্ধতিও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, টেক্সটাইল, এগ্রিকালচার, ফিসারিজ, ফরেস্ট্রি ও লাইভস্টক কোর্সে ভর্তির আবেদনের বিষয়েও জানানো হয়েছে। এতে ভর্তি পরীক্ষা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬২ টাকা। এর মধ্যে আবেদন ফি ১৬২ টাকা এবং ভর্তি পরীক্ষা ফি ৫০০ টাকা। তবে একাধিক শিফটে আবেদন করলে প্রতি অতিরিক্ত শিফটের জন্য ১৬২ টাকা করে দিতে হবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের কোর্সে আবেদন করতে হলে আবেদন ফি ১৬২ টাকা ধার্য করা হয়েছে, তবে এখানে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আলাদা ফি প্রযোজ্য নয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় সর্বোচ্চ কত ফি নেওয়া যাবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন (ঢাকা) এলাকার ইংরেজি ভার্সনের জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, বাংলা ভার্সনের জন্য ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকা (ঢাকা ছাড়া), জেলা ও মফস্বল/উপজেলায় যথাক্রমে ৩ হাজার, ২ হাজার ও ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া যাবে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই সীমা আরও কম। একইসঙ্গে উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি ফি পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
আমার বার্তা/এল/এমই