যে পুরুষ নারীর ভালোবাসা অর্জন করেছে, সে শুধু তার হাসিমুখ দেখেই থেমে থাকেনি। সে দেখেছে সেই নারীর রাগ, অভিমান, কষ্ট, নীরব কান্না, ভাঙা মন, অব্যক্ত চাওয়া—সবকিছু। নারী তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির কাছেই সবচেয়ে বেশি জেদি হয়, সবচেয়ে বেশি অধিকার দেখায়, কারণ তার বিশ্বাস থাকে—“এই মানুষটা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না।”
নারী কখনো হয় কোমলতায় মোড়ানো এক স্নেহময়ী, আবার কখনো রাগে আগুন হয়ে ওঠে। কিন্তু এই রাগ বা অভিমান কখনোই ঘৃণা নয়—বরং এটা তার ভালোবাসারই আরেকটি রূপ। কারণ, একজন নারী কখনোই যাকে ভালোবাসে না, তার উপর এমন কিছু অনুভবই করে না। তার রাগ মানে তার আগ্রহ, তার অভিমান মানেই অগাধ ভালোবাসা।
হ্যাঁ, নারীদের মুড সুইং হয়—কখনো হেসে ফেলে, আবার হঠাৎ চুপ করে যায়। কখনো খুঁটিনাটি বিষয়েও মন খারাপ হয়, আবার তুচ্ছ কিছুতেই আনন্দে ভরে ওঠে চোখ। তাদের মন বোঝা কঠিন—তবে অসম্ভব নয়। শুধু দরকার একটু মনোযোগ,একটু সময়, আর সবচেয়ে বড় কথা—একটু হৃদয় দিয়ে তাকে অনুভব করার ইচ্ছা।
অনেক পুরুষ হয়তো ভাবে—“আমি কেন সবসময় সহ্য করবো? আমারও তো রাগ আছে, আমিও তো মানুষ!”ঠিকই, আপনি মানুষ, আপনিও কষ্ট পান।আপনি চাইলে কঠোর হতে পারেন,চাইলেই তাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি সত্যিই ভালোবাসেন, তাহলে একবার তার চোখের দিকে তাকান—সেখানে আপনি দেখতে পাবেন অগাধ ভালোবাসা, একটু ভয়, একটু নির্ভরতা, আর একটুখানি দিশেহারা ভরসা।
আপনি চাইলে সেই নারীকে আরও ভেঙে দিতে পারেন, কিংবা চাইলে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে পারেন—“আছো, আমি আছি।” আপনি যদি সত্যিই শক্তিশালী হন, তাহলে তা প্রমাণ হয় রাগ দেখিয়ে নয়, তাকে সান্ত্বনা দিয়ে, বুঝিয়ে, ভালোবেসে আগলে রেখে।
কারণ বুদ্ধিমান পুরুষেরা জানে—নারীর হৃদয়ে পৌঁছাতে কঠোরতা নয়, দরকার অশেষ ধৈর্য আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। নারীদের উপর জোর খাটিয়ে কিছুদিনের জন্য কিছু জেতা যায়, কিন্তু হৃদয় জয় করা যায় না। হৃদয় জয় করতে হয়—সহমর্মিতা দিয়ে, শ্রদ্ধা দিয়ে, সাহচর্য দিয়ে।
একজন নারী তার ভালোবাসার পুরুষকে শুধুই ভালোবাসে না—সে তাকে আশ্রয় করে, প্রার্থনায় রাখে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা মনে করে। যদি আপনি সেই পুরুষ হন, তাহলে সে আপনার জন্য পুরো পৃথিবী হয়ে উঠতে পারে। শুধু তার ভালোবাসাকে সম্মান দিন, বোঝার চেষ্টা করুন, আর কখনো কখনো। নারীকে জয় করতে হয় না—সে তো জয় দিয়ে দেয়।
আমার বার্তা/এল/এমই