রাজশাহীর বাঘায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মোবাইল দোকানের এক কর্মচারীকে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬) ও কাজিপাড়া গ্রামের মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০)।
এ মামলায় বাঘার জোতকাদিরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে রকিকে (২৩) তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে মোবাইল দোকানের কর্মচারী জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের অদূরেই পড়ে ছিল নিহতের মোটরসাইকেল ও হেলমেট। তবে বিক্রির জন্য দোকান থেকে নিয়ে যাওয়া কিছু মোবাইলফোন তখন পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বাঘা থানায় মামলা করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামি মাসুদ রানা ও শাওন জানান, ব্যবহারের জন্য জহুরুলের কাছ থেকে বাকিতে তিনটি মোবাইল কিনেছিলেন তারা। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয় জহুরুলকে। সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর ফোনগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শাওন ও মাসুদ।
আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আমার বার্তা/এমই