বুলগেরিয়া যাওয়ার পথে ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের বিমানে জিপিএস জ্যামিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। ইসি জানিয়েছে, এর পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উরসুলা ভন ডার লিয়েনকে বহনকারী বিমানটি বুলগেরিয়ায় অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। যদিও কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে বিষয়টি ইউরোপে রাশিয়ার শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, গতকাল রোববার ইইউর প্রধান বুলগেরিয়ায় অবতরণের আগে তাঁর বিমানের নেভিগেশন সিস্টেমে জিপিএস জ্যামিং হয়। এ ঘটনার পরপরই বুলগেরীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। তারা সন্দেহ করছে, এর পেছনে রাশিয়া জড়িত। এ জ্যামিংয়ের কারণে উরসুলা ভন ডার লিয়েনের বিমানকে নিরাপদে অবতরণের জন্য প্লোভদিভ বিমানবন্দরের জরুরি নেভিগেশন পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিপিএস জ্যামিংয়ের কারণে বিমানটিকে কাগজের ম্যাপ ব্যবহার করে অবতরণ করতে হয়েছিল। বুলগেরিয়ার এয়ার ট্রাফিক সার্ভিসেস অথরিটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের ওখানে নেভিগেশন জ্যামিংয়ের ঘটনা বেড়েছে। বিষয়টি বুলগেরিয়ার বাণিজ্যিক ফ্লাইট ও জাহাজ চলাচলের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই অভিযোগকে ‘ভুল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ইউরোপীয় কমিশন এটিকে রাশিয়ার শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখছে। ইইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ধরনের হুমকি ও ভীতি রাশিয়ার শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের একটি অংশ। এ ঘটনার পর ইইউ তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জোরদার করারও অঙ্গীকার করেছে।
উরসুলা ভন ডার লিয়েন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে তিনি বুলগেরিয়া গিয়েছিলেন। ঠিক এমন সময়ে জিপিএস জ্যামিংয়ের ঘটনাটি ওই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার একটি প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
আমার বার্তা/এমই