ই-পেপার শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

বিশ্বজুড়ে আমেরিকা ফাস্ট এর দুঃসংবাদ

রায়হান আহমেদ তপাদার:
০৯ জুন ২০২৪, ১১:২১

আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আসামি হওয়া একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচারের মধ্যে পুরো বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর বাইরে ফৌজদারি মামলা হিসেবেও এর আলাদা গুরুত্ব আছে। এই লড়াইয়ের এক পক্ষে আছে আইনের একটি উদার গণতান্ত্রিক ধারণা। অন্য পক্ষে আছে এমন একটি অনুদার ধারণা, যা বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থার বাইরে একটি একগুঁয়ে কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য পর্ন অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল এবং সে-সংক্রান্ত নথিপত্র নষ্ট করতে ট্রাম্প ইচ্ছাকৃত ও বেআইনিভাবে তাঁর নিজস্ব ব্যবসায়িক রেকর্ডে মাজাঘষা করেছিলেন-বিষয়টি সরকারি কৌঁসুলিরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আরও দাবি করছে, মুখ বন্ধ রাখার অর্থকে ট্রাম্প ও তাঁর আইনজীবীরা আইনানুগ প্রাপ্য পারিশ্রমিক হিসেবে দেখিয়েছিলেন এবং এর মাধ্যমে তাঁরা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের শেষ দিনগুলোয় প্রার্থী সম্পর্কে জনসাধারণের কাছে প্রাসঙ্গিক তথ্য গোপন করেছিলেন। এসব অভিযোগ প্রমাণ করার পাশাপাশি যদি কৌঁসুলিরা এটিও প্রমাণ করতে পারেন যে ট্রাম্পের এসব কাজ তাঁর কর জালিয়াতি কিংবা প্রচার-সংক্রান্ত জমাখরচের হিসাবের আইন লঙ্ঘনের মতো অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপকেও বেগবান করেছিল, তাহলে তাঁর প্রাথমিক অপরাধটি একটি ছোট অপকর্ম থেকে বড় একটি অপরাধে রূপ নেবে। সেটি হলে ট্রাম্পের অপরাধ সবার সামনে প্রকাশিত হবে। আর তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করাও যেতে পারে। ট্রাম্প যে ধরনের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব হাতের মুঠোয় নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা করেন, তা নিচ থেকে ওপরের দিকে উঠে আসা সর্বস্তরের জনগণের ক্ষমতার উদার গণতান্ত্রিক বোধের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

সার্বভৌম ক্ষমতার ব্যক্তিকেন্দ্রিক দাবি ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়: ‘আমিই তোমাদের ন্যায়বিচার, আমিই ইনসাফ, আমিই তোমাদের প্রতিশোধ'। যে জনগণ স্বাধীনভাবে তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের হাতে তাঁদের ক্ষমতা অর্পণ করতে চান, সেই জনগণের স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে ট্রাম্পের আকাঙ্ক্ষা সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। ট্রাম্প এমন একটি অনুদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিলাষ পোষণ করেন, যেখানে ক্ষমতা জনগণ থেকে শীর্ষে অবস্থানরত সর্বোচ্চ নেতার কাছে যায় না, বরং শীর্ষে থাকা নেতার কাছ থেকে নিচের দিকে চুইয়ে পড়ে।আজ সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, রাজতন্ত্রবিরোধী যে নেতারা আজকের উদার আমেরিকাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁরা যদি জানতেন একজন প্রেসিডেন্ট সপ্তদশ শতকের একজন নিরঙ্কুশবাদী শাসকের (ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই) ‘আমিই রাষ্ট্র, আমিই জাতি’ উক্তিটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অভিলাষ পোষণ করছেন, তাহলে তাঁরা কতটা হতবাক হতেন। ইতিহাসে নতুন একটি জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বসাতে নিউইয়র্ক জুরির ৯ ঘণ্টার সামান্য কিছু বেশি সময় লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ট্রাম্প নিজেকে বেশ আগেই এমন একজন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন, যিনি গুরুতর অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। আর এখন তিনিই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখনো তিনটি গুরুতর মামলা চলমান। সেগুলোর কোনোটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি। কুখ্যাত আমেরিকান ব্যবসায়ী ও গ্যাংস্টার আল ক্যাপোনের মতো ট্রাম্পের তুলনামূলক ছোট একটি মামলা নিষ্পত্তি হলো। এর মধ্য দিয়ে আইন তাঁকে শেষ পর্যন্ত ধরতে পারল। এখানেই ঘটনার শেষ-এমনটা মনে করতে পারলে সত্যিই ভালো হতো।

ট্রাম্পের দিন শেষ হয়েছে এবং তাঁর হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার সব আশা শেষ হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাভাবিকভাবে চললে এ কথায় কেউ দ্বিমত করত না। একটি স্বাভাবিক বিশ্বে আমরা দাঁড়িয়ে থাকলে অবশ্যই বলা যেত, আমেরিকানরা কখনোই তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন অপরাধীকে নির্বাচিত করবে না। ১৯৮৮ সালে ব্রিটিশ রাজনীতিক নিল কিনকের বক্তব্য চুরি করে নিজের ভাষণে চালিয়ে দেওয়ার কারণে জো বাইডেনকে যে ভোটাররা অযোগ্য ঘোষণা করেছিল; সেই ভোটাররা বাইডেনের চেয়ে অন্তত ৩৪ গুণ অন্যায় করা অপরাধীকে হোয়াইট হাউসে পাঠাবে, এটা হতেই পারে না। কিন্তু কথা হচ্ছে সেই স্বাভাবিক বিশ্বকে আমরা অনেক আগেই অনেক পেছনে ফেলে এসেছি। বাস্তবতা হলো, আজকের ‘ট্রাম্পওয়ার্ল্ডে’ ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা রায় তাঁর সহানুভূতি কুড়ানোর হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে; তাঁর নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের সুযোগ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের অনুচরেরা এখন তাঁদের সেই রাজনৈতিক প্যাটার্নের দিকে ঝুঁকবে যা তাঁরা একটু একটু করে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। ট্রাম্পের অনুসারীরা ট্রাম্পের ওপর আসা আইনি আঘাতকে রিপাবলিকান প্রাইমারি চলাকাল থেকে চক্রান্ত হিসেবে দেখাচ্ছেন। রিপাবলিকান প্রাইমারি থেকে ট্রাম্প নিজেকে রাষ্ট্রক্ষমতার গভীরে থাকা উদারপন্থীদের চক্রান্তের শিকার হিসেবে দাবি করে আসছেন। সুতরাং ট্রাম্পের যেকোনো সাজাকে টিম ট্রাম্প আদালতের অবিচার বলে প্রচার করতে থাকবে। অর্থাৎ ট্রাম্প যত বড় অন্যায়ই করুন না কেন, তাঁর ভক্ত ও সমর্থকদের কাছে তাতে তাঁর জনপ্রিয়তা কমবে না বলে ধারণা করা যেতে পারে। কেননা ট্রাম্প একবার নিজের মুখে বলেছিলেন, তিনি যদি ফিফথ অ্যাভিনিউতে ‘কাউকে গুলি করেন’, তা হলেও তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে ছেড়ে যাবেন না। তা সত্ত্বেও, এই রায় ঘোষণার পর আপনি ট্রাম্প এবং তাঁর উপদেষ্টাদের চেহারায় চিন্তার রেখা দেখতে পাবেন।

কারণ তাঁরা ভালো করেই জানতেন, ১৫৩০ নম্বর বিচারকক্ষে ১২ জন বিচারক যে রায় দিয়েছেন, তা জো বাইডেনের জন্য প্রাণসঞ্চারী হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা নিয়ে যেসব জরিপ হয়েছে, সেসব জরিপে বাইডেনের অবস্থা খুবই খারাপ দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় পেতে হলে জিততেই হবে, এমন ছয়টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে পাঁচটিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে পেছনে রয়েছেন। যে কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো এবং তরুণ ভোটারদের ভোট পেয়ে ২০২০ সালে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে এবার তিনি জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। অর্থনীতির সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমেরিকানরা বাইডেনের চেয়ে এখন ট্রাম্পের ওপর বেশি আস্থাশীল।এক জরিপ বলছে,৪৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্পের ওপর আর্থিক অগ্রগতির ইস্যুতে আস্থা রাখা যায়।অন্যদিকে একই ইস্যুতে ৩১ শতাংশ আমেরিকান বাইডেনের ওপর ভরসা রাখতে পারছে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও একটি সান্ত্বনা পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজন রিপাবলিকান ভোটারের মধ্যে প্রায় একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যাঁরা বলেছেন তাঁরা ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্বিবেচনা করবেন অথবা যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁকে সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করবেন। এখন যেহেতু রায় হয়ে গেছে, সেহেতু বলা যায়, সেই দিন এসে গেছে। তবে জনপ্রিয়তা বাইডেনের কাছে হেঁটে এসে ধরা দেবে না। এই রায়ের মাধ্যমে জো বাইডেনের জন্য যে দরজা খোলা হয়েছে, তাঁকে তার মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। অর্থাৎ রিপাবলিকানদের মধ্যে যাঁরা ভিন্নমত পোষণকারী, তাঁদের কাছে বাইডেনের সরাসরি আবেদন করতে হবে; তাঁদের দলীয় আনুগত্য ভাঙতে এবং বাইডেনকে তাঁদের ভোট দিতে অনুরোধ করতে হবে। তবে অবিশ্বাস্যভাবে বাইডেন এখন পর্যন্ত তা করার কোনো চেষ্টাই করেননি।

সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ক্রিস ক্রিস্টি, যিনি জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ওপর উত্তেজনাপূর্ণ আক্রমণ করে নির্বাচনী দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছিলেন, তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, বাইডেন বা তাঁর দলের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বা তাঁর সমর্থন এমনকি পরামর্শও চাননি। এটি বাইডেনের অত্যধিক আত্মতুষ্টিকে আমাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায় বাইডেনকে দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ এনে দিলেও এই বিষয়টিকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিপদের ঝুঁকিও আছে। রায়ের পয়েন্টটির ওপর খুব বেশি চাপাচাপি করলে ট্রাম্পবাদীরা এমন একটি ভাষ্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারে যে ম্যানহাটানের বিচার একটি পক্ষপাত মূলক ‘উইচ হান্টের’ অংশ, যেখানে বাইডেন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করার জন্য বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েছেন। বাইডেন এমন কিছু বলতে পারবেন না, যা থেকে মনে হতে পারে তিনিই ট্রাম্পের আইনি পতনের মূল অনুঘটক। সে ক্ষেত্রে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না থাকার বিষয়ে নিরপেক্ষ বক্তব্য দিয়ে যাওয়াই বাইডেনের জন্য ভালো হবে। যদিও ২০২৪ সালের এই নির্বাচনকে একটি স্বাভাবিক ও গতানুগতিক নির্বাচন বলে মনে করার সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ আলাদা কিছু। বর্তমানে যিনি বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি ২০২০ সালে হেরে গিয়ে ভোটের ফল উল্টে দিতে চেষ্টা করেছিলেন এবং আদালতের ভাষ্যমতে, ২০১৬ সালে তিনি নির্বাচনে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার তিনি ভোটে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে গেছেন। কারণ, একমাত্র আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের জয়ই তাঁকে জেলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে। চলতি মাসে ক্রিস্টি বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর নিজের কোমর ভেঙে যাওয়াকে যতটা ভয় পান, সেভাবেই জেলে যাওয়ার বিষয়টিকে ভয় পান। এমন একজন ব্যক্তির পুনরায় ক্ষমতায় আসাটা আমেরিকান প্রজাতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং আইনের শাসনের জন্য মহাবিপদের বিষয়। এর চেয়ে গুরুতর বিপদ আর হতে পারে না।

সুতরাং চোখ বুজে বলে দেওয়া যায়, আমরা আমেরিকার ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছি। এ অবস্থায় আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে? বা কী হওয়া উচিত? আমরা যে বেদনাদায়ক ও জটিল বাস্তবতার মুখে পড়েছি, সেই বিষয় থেকে সরে এসে আমরা উটপাখির মতো বালুতে মুখ গুঁজে থাকতে পারি না। আমরা কিছু না দেখার ভান করে খবর পড়া বন্ধ করতে পারি না কিংবা টিভি বন্ধ করে রাখতে পারি না। বিশ্বে যা কিছু ঘটার, তা ঘটে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন যা অবস্থা, তাকে একেবারে গন্ডগোলের পরিস্থিতি বলা যায়। সবাই মিলে জোর চেষ্টা না করলে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না। আমাদের অবশ্যই ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ, এই নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের সবার জীবনযাপন ও ভালো থাকা মন্দ থাকার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। বাইডেন কিন্ত টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতায় ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করেছেন। ইসরায়েলের বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে যদি আপনার নেতিবাচক ধারণা থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।বাইডেন একজন প্রথাগত আমেরিকান রাজনীতিবিদ,যিনি গণতন্ত্র,অবাধ নির্বাচন এবং ভিন্নমতের অধিকারে বিশ্বাস করেন।আর ট্রাম্প এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করেন না। আর এখানেই ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে পার্থক্য। তবে বাইডেন আর যাই হোন ট্রাম্পের মতো আমেরিকার ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায়ের পথ এড়িয়ে চলবেন এটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/জেএইচ

বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারের করণীয়

বাংলাদেশ বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং সামাজিক অশান্তির এক জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ঋণ সংকট ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ঋণ সংকট ব্যাপকভাবে আলোচিত বিষয়। উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্রমবর্ধমান ঋণের চাপে

ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক উত্তরণে দরকার জাতীয় ঐক্য

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্ত থেমে নেই। জুলাই-আগষ্টের কষ্টার্জিত সফলতা বিনষ্ট করার এক ও অভিন্ন

নারী নির্যাতনের জন্য পুলিশের তৈরি হটলাইন কেমনভাবে নেবে জনগণ

বাংলাদেশ পুলিশ সম্প্রতি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ২৪ ঘণ্টা হটলাইন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবির সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক আর নেই

১৪ মার্চ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে মতামত দেবে বিএনপি

মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত

২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের পথ দেখাল প্রজ্ঞা

১৫ জুলাই হামলা ছিল পরিকল্পিত, ঢাবির ১২২ জন শনাক্ত

সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে দ্রুত জনবল নিয়োগের নির্দেশ

সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম

গাম্বিয়া যেতে আর ভিসা লাগবে না সরকারি পাসপোর্টধারীদের

ধর্ষণ ও নির্যাতনকারীদের জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি

দিল্লির হোটেলে ব্রিটিশ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার দুই

বেঁচে থাকলে আর কখনো একা ছাড়তাম না: মাগুরার সেই শিশুর মা

সিঙ্গাইরে নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে সড়কের কাজ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত দুই

২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ, উপদেষ্টা পরিষদে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট কার্যকরের পরিকল্পনা সরকারের

সিরাজগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং

সব প্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে

স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা