ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩২

রাগ নিয়ন্ত্রণে ইসলামের নির্দেশনা

আমার বার্তা অনলাইন
০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১

রাগ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রাগ মানিবক আবেগের অংশ বিশেষ। তবে অনিয়ন্ত্রিত রাগ মারাত্মক ক্ষতিকারক।

এক সাহাবি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে অল্প কথায় কিছু নসিহত করুন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। সাহাবি কয়েকবার বললেন, আরও নসিহত করুন। প্রত্যেকবারই রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। -বোখারি শরীফ

আবু যার (রা.)–এর বরাতে বলা হয়েছে একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বললেন, যদি তোমাদের কেউ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রাগান্বিত হয়, তবে সে যেন বসে পড়ে। যদি এতে রাগ চলে যায়, তবে ভালো; নয়তো সে শুয়ে পড়বে।

আতিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত; আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তান আগুন হতে সৃষ্ট। আগুনকে পানিই নেভাতে পারে। কাজেই তোমাদের কেউ রাগান্বিত হলে সে যেন অজু করে।

ইসলাম মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম মনে করে, রাগ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায়া খারাপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই রাগান্বিত অবস্থায় ক্ষমা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকার পরও প্রতিশোধ না নেয় এবং ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তার এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, বড় বড় মনিষীরা ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রগামী। তারা রাগান্বিত হলে সূরা আল ইমরানের ১৩৪ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াত করতেন। এ আয়াতে বলা হয়েছে, যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ-ত্রুটি মাফ করে দেয়। এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন।

মহান ও আধ্যাত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ ব্যক্তিরা সব সময় অন্যের জন্য দোয়া করেন। মানুষকে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানান। তাদের কথা হলো, কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব আপনার ওপর রেগে থাকলে ক্ষুব্ধ লোকটির কাছে গিয়ে নম্রভাবে তাকে সান্ত্বনা দিন, তার ক্ষোভ উপশমের ব্যবস্থা করুন, যাতে সে শান্ত হয়। এমনটি করলে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিটির ক্ষোভ কমবে, তার কোনো ক্ষতি করার পরিকল্পনা থাকলে তা থেকে সরে আসবে।

রাগ নিয়ে ইসলামের এমন অবস্থানের পরও কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষোভকে সঠিক বলে রায় দিয়েছে। সমাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জুলুম ও বৈষম্য দূর করা এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরাধী ও জুলুমবাজদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে রাগ বৈধ। জাতীয়, ধর্মীয় ও মানবিক আদর্শ ও মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে রাগকে কাজে লাগাতে হবে। তবে অন্যায় দমন করতে যেয়ে অন্যায়কে যাতে প্রশ্রয় না দেওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বস্তুত রাগ মানুষের জীবনকে সহজেই বিষাক্ত করে তুলতে পারে। রাগের মাথায় এমন সব কাজ ঘটে যেতে পারে- যা ব্যক্তি, সমাজ তথা গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই রাগ হলে আলেমরা ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এক হাদিসে বলা হয়েছে, যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শুয়ে পড়ে। -তিরমিজি

আর মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর।

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

রাগ দমনের সওয়াব

আল্লাহ বলেন, ভালো ও মন্দ (দুই-ই) সমান হতে পারে না। ভালো দিয়ে মন্দকে বাধা দাও। এতে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এ-চরিত্র তাদেরই হয় যারা ধৈর্যশীল, এ-চরিত্র তাদেরই হয় যারা মহাভাগ্যবান। যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে উসকানি দেয় তবে তুমি আল্লাহর স্মরণ নেবে, তিনি সব শোনেন, সব জানেন। (সুরা হামিম সিজদা, ৩৪-৩৬)

নবীজি (সা.) বলেন, যে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাগ দমন করে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার অন্তরকে সন্তুষ্টি তারা পূর্ণ করে দেবেন।

নবীজি (সা.) আরও বলেন, সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তার রাগ দমন করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাঁর গোটা সৃষ্টির সামনে তাকে ডাকবেন এবং তাকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী হুর নির্বাচন করতে দেবেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৭৭)

হাদিসে যেভাবে ভিক্ষাবৃত্তিতে অনুৎসাহিত করা হয়েছে

প্রয়োজনের অন্যের কাছে কিছু চাওয়া স্বাভাবিক। প্রয়োজনগ্রস্ত বা অভাবী ব্যক্তিকে দান করাও সওয়াবের কাজ। হাদিসে

রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আমিরাত

২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানী

রজব থেকেই রমজানের প্রস্তুতি

হিজরি ক্যালেন্ডারে সপ্তম মাস রজব, নবম মাস রমজান। রজবের পর শাবান মাস, তারপরই রমজান মাস।

কোরআনে পুলসিরাত নিয়ে যা বলা হয়েছে

হাশরের মাঠ থেকে বের হয়ে গন্তব্যে যেতে একটি পুল স্থাপন করা হবে। আরবিতে পুলকে বলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাল্টে যাচ্ছে দেশের নাম, থাকছে না ধর্মনিরপেক্ষতা

ঢাকার ১৯ খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত: রিজওয়ানা হাসান

টিউলিপকে নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, উঠেছে ড. ইউনূসের নামও

আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব

৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব কমিশনের

অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর, স্ত্রী কারাগারে

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

১২ বছর পর কারামুক্তি পেলেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে

ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য আরএসএস প্রধানের

রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও দেশের সাংবিধানিক নাম বদলের সুপারিশ

সাময়িক বরখাস্ত হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন

সুপার ওভারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে সম্পর্ক হোঁচট খাবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে জাপানের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

মাসে ৩ হাজার টাকা পাবেন সুবিধাবঞ্চিত ঢাবি ছাত্রীরা

সিস্টেম লসের নামে চুরি বন্ধ হলে গ্যাসের দাম বাড়ানো লাগে না

টিউলিপের পদত্যাগে এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সবার আগে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়া উচিত ছিল

শৈশবের বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল