জেলার মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষন ও মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ অভিযান শুরু করেছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন আজ শনিবার সকাল থেকে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে মৎস্যবিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের নেতৃত্বে নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ফলে পুরো নদী এখন জেলে শূন্য।
এ নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবে ২৫ কেজি করে। জেলেদের অভিযোগ, সরকারের আইন মেনে তারা নদীতে যাচ্ছেনা। কিন্তু বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল প্রকৃত জেলেদের না দিয়ে অন্য পেশার লোকজনকে দেয়া হচ্ছে সরকারি এ সুযোগ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আর এতে ছোট-বড় ৩০টি মাছঘাটে রয়েছে নিরবতা। নেই কোনো হাক-ডাক। অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। নদীর পাড়ে জাল ও নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। বন্ধ রয়েছে উপকূলীয় এলাকার বরফ কলগুলোও।
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে ৩ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। এ সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এ জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধিত হয়েছেন।
জেলেরা জানায়, নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে মাছ ধরার নৌকা ও জাল ঘাটের আশ-পাশে নিয়ে মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা। জাটকা সংরক্ষন ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে নামছেনা। কিন্তু জেলেদের পুনর্বাসন করার কথা থাকলেও সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। যে পরিমান জেলে রয়েছে, সে পরিমান সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন জেলেরা। নিষেধজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত যেন তা পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নদীতে অভিযান চলছে। এটি নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন অব্যাহত থাকবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই