বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ এর ক্ষমতার অনৈতিক অপব্যবহার, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা- প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন কাজে নিম্নমান, ধীরগতি ও সীমাহীন দূর্নীতির কারনে- সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ছে। ক্ষমতার অনৈতিক অপব্যবহারের কারনে দরপত্র পক্রিয়ায় বছরের পর বছর উন্নয়ন কাজ ঝুলে আছে। আদালতে মামলা হচ্ছে। নির্ধারিত অর্থ বছরের মধ্যে উন্নয়ন কাজ শেষ করতে না পারায়- সরকারের কেন্দ্রীয় কোষাগারে ফেরৎ যাচ্ছে জিওবির অর্থ। একই সাথে মহাপরিচালকের স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরীর কারনে- পারস্পরিক প্রতি হিংসা বাড়ছে। এর ফলে যোগ্য কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার অসৎ কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উচ্চ পদের কর্মকর্তাকে বসানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ন পদে। এ ছাড়াও ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ৩য় গ্রেড থেকে ২য় গ্রেডে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন- এমন কর্মকর্তার পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হয়নি। এ সব কারনে প্রশাসনিক পারস্পরিক প্রতিহিংসা ও গ্রুপিং বাড়ছে। এর ফলে ব্যহত হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউটের মতো- জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কার্যক্রম। এ অবস্থা থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে পর্যবেক্ষন মহল- কৃষি মন্ত্রনালয়ের নিবিড় ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছে। উল্লেখ্য যে, এ সব তথ্য নিয়ে- ইতোমধ্যে দূর্নীতি দমন কমিশন গাজীপুর দপ্তর বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর কার্যক্রম নিয়ে- দৈনিক আমার বার্তার এই প্রতিনিধি একটি বিশেষ অনুসন্ধান চালিয়েছে। যার একটি খন্ড চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে- এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদননে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে বাড়ির প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার অনৈতিক অব্যবহারের দালিলিক চিত্র অনুসন্ধান কর জানা যায়- মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ এর স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির কারনে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন সরকারী পরিচালক ( প্রশাসন) আবু সাঈদ মোঃ নূরে হাবিব। তিনি ২০২০ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ঐ দপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান খন্দকারকে অনৈতিক সুবিধা দিতেই মূলত সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ নূরে হাবিবকে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে- উপ পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান খন্দকার- এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর বিগত ৩টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অবৈধ ভাবে অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ ইউনুস আলীকে সংগ্রহ ও ভান্ডার শাখার উপ পরিচালক- পদে পদায়ন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়- ডঃ মোঃ আলতাফ হোসেন- মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (গ্রেড-৩) ১৯৯২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এ যোগদান করেন। এরপর বারি নিয়ন্ত্রিত ডাল গবেষনা কেন্দ্র, ইশ্বরদী, পাবনায় তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ১ মাস অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তাকে পদোন্নতি বঞ্চিত করে বিগত চলতি ২০২৫ সালের ২০ মার্চ অপেক্ষাকৃত জুনিয়র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মোঃ মাজহারুল আনোয়ার কে ডাল গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়। একই সাথে চলতি বছরের ২৩ মার্চ জ্যেষ্ঠ হওয়ার সত্ত্বেও ডঃ মোঃ আলতাফ হোসেনকে পদোন্নতি বঞ্চিত করে- আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্র যশোরে মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদেই বদলী করা হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার স্বচ্ছ প্রতিবেদন থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে পদবঞ্চিত করা হলো- তার নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ৩য় গ্রেড থেকে ২য় গ্রেডে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ ১ বছর পরেও তার পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না- তার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।
মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ- সম্পর্ন অনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তার দপ্তরের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে- মোঃ সোহেল সিরাজ নামের বৈজ্ঞানিক সহকারী (এসএ) কে পদায়ন করে রেখেছেন। ঐ বিভাগে মূলত তার কোন কাজ নেই। তাকে কাজ বিহীন অবস্থায় বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিয়ে সরকারী অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (ডি কে আই বি) বারি শাখার একজন নেতা অভিযোগ করেন- “ মহাপরিচালক ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনেই বারিতে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। মোঃ সোহেল সিরাজের মত কর্মচারীরা কাজ না করেই বসে বসে সরকারী অর্থের অপচয় করছে”। এ ছাড়া মোঃ সোহেল সিরাজ এর বিরুদ্ধে- ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোষের একজন মন্ত্রীর স্ত্রী বারির সাবেক পরিচালক ডঃ সোহেলা আক্তার রীতার লাঠিয়াল ছিলেন। মোঃ সোহেল সিরাজ এর বিরুদ্ধে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী ডঃ মোহাম্মদ শরিফল ইসলামের সহায়তায়- কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর অভ্যান্তরে- আওয়ামী লীগের একাধিক গোপন বৈঠক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরেও তাকে অনত্র বদলী করা হয়নি। এ ছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন- গাজীপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ মোঃ সোহেল সিরাজ এর রাষ্ট্র বিরোধী- অপতৎপরতার অভিযোগ আনেন। মহাপরিচালককে এ বিষয়ে অবহিত করার পরেও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বিধায় বারির কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বি এ আর আই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলেনতাজ হোসেনকে- মহামান্য হাইকোট ডিভিশন রীট পিটিশন নং- ৩৬৫৭/২০১৫ এর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করার নির্দেশনা দিলেও মহাপরিচালক- ক্ষমতার অপ-ব্যবহারের মাধ্যমে অদ্যাবধি উচ্চ আদালতে দেয়া রায় বাস্তবায়ন করেননি।
ছবি: দূর্নীতি দমন কমিশন, গাজীপুর জেলা কার্যালয়-বারির বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অনিয়মের তদন্ত করতে একজন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞেসাবাদ করছে।
মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ তাঁর দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে নিম্নমান, ধীর গতি, ও দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে সরকারের ক্রয় নীতিমালা ২০০৮ (পিপি আর-২০০৮) এর শর্ত অমান্য করে নিরাপত্তা জামানত বাবদ দরপত্রের ২৫% টাকা নির্ধারন করে ঠিকাদারদের হয়রান করছেন। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আরও জানা যায়। মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ অনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাইন্স হাউজকে কার্যাদেশ দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ অলিখিত চুক্তি করে- কৃষি গবেষনার আঞ্চলিক কার্যালয়ে কোল্ড স্টোরেজ নির্মান কাজের পরপর ৩ বার দরপত্র আহ্বান করেন। বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ- সর্বনিম্ন দরদাতা না হওয়ায় তাকে কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হয়নি। শুধু মাত্র একটি পছন্দের ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়ার উদ্দেশ্যে পর পর ৩ বার দরপত্র আহ্বানে রাষ্ট্রের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে- তার দায় কে নিবে? এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করে তদন্তের আওতায় আনার দাবী উঠেছে। মহাপরিচালকের এই স্বেচ্ছাচারী ও অপেশাদার আচরনের কারনে উক্ত কোল্ড স্টোরেজ নির্মান কাজের সিদ্ধান্ত আজ পর্যন্ত হয়নি। এতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহৃত হয়েছে। উক্ত কাজের ID NO- 898729। মহাপরিচালক ক্ষমতার অনৈতিক অপ-ব্যবহারের মাধ্যমে- Construction of Lab cum Training Complex (5 Storied Building) at ARS, BARI, Dinajpur & OFRD Sylhet 2, Installation of 200 KVA Electrical Sub Station at OFRD, BARI Sylhet (যার টেন্ডার ID NO- 1067263) কাজের পিপি আর- ২০০৮ বিধিমালা লংঘন করে- শুধুমাত্র ঠিকাদারকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ২৫% (শতকরা পচিশ ভাগ) নিরাপত্তা জামানত ধার্য করে ঐ ঠিকাদারকে চাপে ফেলে- ঠিকাদারের ৫৬ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন। ঐ ঠিকাদার প্রকল্পটির দরপত্রে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছিলেন। ঠিকাদার এই অনিয়মের বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করলে এই নির্মান কাজ মূলত স্থগিত হয়ে যায়। উন্নয়ন কাজ এভাবে স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করার জন্য মূলত দায়ী কে? স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে- সকল অনিয়মের দায়-দায়িত্ব মূলত মহাপরিচালকে নিতে হবে বলে রাষ্ট্রীয় আইনে বিধান রয়েছে।
বারি মহাপরিচালক স্বেচ্ছাচারী আচরন ও কাজের চরম অবহেলার কারনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জি ও বি র বাজেটে উন্নয়ন কাজে ধরা ৩ কোটি টাকা মন্ত্রনালয়ে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশিন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (PARTNER) প্রকল্পের অর্থায়নে ইরিগেশন চ্যানেল মেরামতের কাজ বিগত চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো কাজটি শেষ করা যায়নি। অথচ উক্ত কাজের বিল জুন ২০২৫ এর পেছনের তারিখে পরিশোধ করা হয়েছে। এটি একটি আর্থিক অনিয়ম যা তদন্তে প্রমানিত হবে। এখানেই শেষ নয়- বারি আঞ্চলিক কার্যালয়- যশোর, জামালপুর, হাটহাজারী এবং দেবীগঞ্জে PARTNER প্রকর্ল্পে অর্থায়নে ইরিগেশন চ্যানেল মেরামতের কাজ চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখানো কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জুন-২৫ এর আগের তারিখে এসব বিল পরিশোধ করা হয়েছে। আরো উল্লেখ যে, PARTNER প্রকল্পের অর্থায়নে - সিড স্টোরেজ কোল্ড রুম মেরামতের কাজ দেয়া হয়- মহাপরিচালকের প্রিয় প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ- নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। উক্ত কাজে বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করে উক্ত কার্যাদেশ নিয়েছে। কিন্তু সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূয়া অভিজ্ঞতা যাচাই না করেই কিভাবে কার্যাদেশ দেয়া হলে- তার তদন্ত প্রয়োজন। উক্ত নির্মান কাজও চলতি ২০২৫ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু অদ্যাবধি শেষ হয়নি।
PARTNER প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম নিম্নমান ও ধীরগতি রয়েছে। বিশেষ করে যশোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ড্রেনেজ সিস্টেম, সীড বেড এবং নেট হাউজ নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। অতি সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রনালয়ের গবেষনা শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত একজন যুগ্ম সচিব এবং একজন উপ সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা যশোর-আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্রে আকর্ষিক পরিদর্শন করলে এই অনিয়মের প্রমান দেখতে পান বলে জানা যায়। উন্নয়ন কাজে এত অনিয়ম সংশ্লিষ্ট মহা পরিচালক কেন জানতে পারেন না ??? - তার তদন্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ যে- কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ডঃ মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান - তাঁর মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রিত ১৮টি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সকল উন্নয়ন কাজ মান সম্মত ভাবে নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রতিটি সভায় - প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সর্তক করে আসছেন। তারপরেও কেন এই অনিয়ম ?? এ বিষয়ে প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন- “এ সব স্বায়ত্তশাষিত, প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ সব সময়ই ক্ষমতার, অনৈতিক অপব্যবহার, দলবাজি ও নিজের পদপদবী ঠিক রাখতে যা যা করার তাই করেন। রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাজে খুব বেশী নজর দেন না। মন্ত্রনালয়ে ভূয়া তথ্য প্রেরণ করেন, অনেক তথ্য আড়াল করেন। ফলে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হয়, অপচয় হয় রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার। এ ক্ষেত্রে বারির মহাপরিচালক কি পরিমান দায়ী তা প্রমান করতে কৃষি মন্ত্রনালয়ের নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ যে-এ বিষয়ে-বারির মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসফ আখন্দ এর বক্তব্য জানতে- ৪টা অক্টোবর তার নির্ধারিত WhatsApp নম্বরে ফোন দেয়া হয়। ম্যাসেজ পাঠানো হয়। উক্ত ম্যাসেজের প্রেক্ষিতে বারি মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আবদুল্লাহ ইউসফ আখন্দ জানান, “আমি কয়েকদিন যাবত জ্বরে ভূগছি। আমার জানামতে আপনার উল্লেখিত অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনার পক্ষে কোন তথ্য প্রমান থাকলে তা সহ আমার অফিসে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ধন্যবাদ”।- মহাপরিচালকের এই বক্তব্যের পরে এই প্রতিনিধি ম্যাসেজের মাধ্যমে বলেন- “সকল তথ্যসহ আপনার এই বক্তব্যটি তুলে ধরছি, আপনার সুস্থ্যতা কামনা করছি”। এর প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক ডঃ মো. আবদুল্লাহ ইউসফ আখন্দ পুনরায় ম্যাসেজের মাধ্যমে লিখেন- “আমার পক্ষ থেকে আপনাকে কোন তথ্য প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়নি”। এই ম্যাসেজের প্রেক্ষিতে এই প্রতিনিধি লিখেন- সাংবাদিককে সত্য প্রকাশে অনুমতি দিতে হয়না”।
আমার বার্তা/এমই