সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। পাশাপাশি কর্মসূচি দেওয়ার ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত। এ মর্মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে এ কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এ কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে।
‘এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সবসময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় কলেজের ফটকের সামনে পাঁচ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও দুই শিক্ষার্থী। পরে অন্যরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কলেজের সামনে সড়ক অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আমার বার্তা/এমই