সিরিজ শুরুর অল্প কদিন আগেও অনিশ্চিত ছিলেন ম্যাথিউ কুনিম্যান। বিগ ব্যাশ খেলতে গিয়ে হাতের বুড়ো আঙুলের স্থানচ্যুতি আর ভাঙন হয়েছিল। তবু উপমহাদেশের কন্ডিশন বিবেচনায় ঠিকই তাকে রেখে দেয়া হয়েছিল স্কোয়াডে। গলে প্রথম অনুশীলনের পরেই জানা গিয়েছিল, কুনিম্যান থাকছেন প্রথম ম্যাচে।
শেষ পর্যন্ত গলে শ্রীলঙ্কার লজ্জাজনক হারে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই স্পিনারই। চতুর্থ দিনে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫ উইকেট হারিয়েছে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল। আর তাতেই সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইনিংস ও ২৪২ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। টেস্টে এটি শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় হার। আর অস্ট্রেলিয়ার জন্য চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়।
জয়ের ভিতটা আগেই গড়ে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। উসমান খাজার রেকর্ডগড়া ২৩২ তো ছিলই, সঙ্গে স্টিভ স্মিথ এবং জশ ইংলিশের সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়াকে দিয়েছিল বড় এক সংগ্রহ। জবাবে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬৫ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ফলো-অনে নেমে শ্রীলংকা গিয়েছিল ২৪৭ পর্যন্ত।
ঘরের মাঠে লঙ্কানদের এমন ভরাডুবির পেছনে ছিলেন ম্যাথিউ কুনিম্যান। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে লংকান ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ফাইফার পেতে পারতেন, তবে পুরাতন বলে ন্যাথান লায়নও যোগ দিলেন উইকেট নেয়ার মিছিলে।
শ্রীলঙ্কা দিন শুরু করেছিল ৫ উইকেট ১৩৬ রান নিয়ে। ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ দিনেশ চান্ডিমাল (৬৩) ও কুশল মেন্ডিস (১০)। তবে ব্যক্তিগত ৭২ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে চান্ডিমাল আউট হলে শ্রীলঙ্কা আর বেশি এগুতে পারেনি।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই চান্ডিমালই বলতে গেলে লড়েছিলেন একাকী। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে নিয়ে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। এবারে ফিফটি পাওয়ার আগেই ৪১ রানে ফেরেন চান্ডিমাল। এরপর ম্যাথুস ৪১ আর কামিন্দু মেন্ডিস ৩২ রান করে ফিরলে শ্রীলঙ্কার হার হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার। শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার স্পিনার জেফরি ভ্যান্ডারসের ৫৩ রানের ইনিংসটা দর্শকদের মন ভরিয়েছে। সঙ্গে কমিয়েছে হারের ব্যবধানটা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে কুনিম্যান নিয়েছেন ৯ উইকেট। আর নাথান লায়নের উইকেট ৭টি। যদিও ২৩২ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন সেই উসমান খাজা। আর ১-০ তে সিরিজে এগিয়ে থেকে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে এবারও ওয়ার্ন-মুরালি সিরিজের ট্রফিটা হাতছাড়া হচ্ছে না তাদের।
আমার বার্তা/এমই