এবারের বিপিএলে খেলার চেয়ে ধুলা নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। আজ দুই ম্যাচের একটিতে ঠিক হবে প্লে-অফের চতুর্থ দল, অন্যটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান। অথচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সব আলোচনাই চলছে স্পট ফিক্সিং ইস্যু আর এতে কারা কারা সম্পৃক্ত, তা নিয়ে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে ১০ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। বলা হচ্ছে, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের সন্দেহভাজনদের তালিকায় নাকি এই ক্রিকেটাররা আছেন। যদিও একটি সূত্র জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে নাম আসা অন্তত দুজন ক্রিকেটার এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন দাবি করে এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইনি সহায়তা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলে কোয়াবকে জানিয়েছেন।
ওদিকে চিটাগং কিংস অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন তো ফ্র্যাঞ্চাইজির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, এসবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এ রকম সংবাদে তাঁদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে আসা তালিকায় তাঁর নামও আছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমি মনে করি, যদি কোনো ক্রিকেটার সত্যিই এসবে জড়িত থাকেন, তাহলে বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্তে নিশ্চয়ই তা বের হয়ে আসবে। কিন্তু কেউ এসবে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও যদি তাঁদের নাম বাইরে আসে, সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের খবর ওই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এবং মর্যাদার জন্যও ক্ষতিকর।’
এদিকে আজ সকালে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নাকি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিলে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের একটি সূত্র একই কথা জানিয়েছিল একটি দৈনিক প্রত্রিকাকে। যদিও বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে পরে জানানো হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে কাউকে এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এনামুলের বিদেশযাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। একই কথা বলেছেন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদকও, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে বিসিবিতে কথা বলেছি। আমার জানামতে, এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’
আমার বার্তা/এমই